বিএনপি কোনোভাবেই এবার সরকার পতন নিশ্চিত না হওয়ার আগে ঘরে ফিরবে না বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বলেছেন, এবার আন্দোলনে নামা হয়েছে জীবনবাজি রেখে।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এবং ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে টানা কয়েক মাস হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেয়ার পর গত আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ শেষে আবার টানা কর্মসূচিতে বিএনপি। আগের কর্মসূচির তুলনায় বিএনপির এবারের কর্মসূচিতে গুণগত পার্থক্য আছে।
এবার দলটি নেতা-কর্মীদের বেশি সম্পৃক্ত করে বড় বড় সমাবেশে জোর দিচ্ছে। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত যানবাহনে পেট্রলবোমা হামলা এবার নেই। তবে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচজন নেতা-কর্মীর প্রাণহানি হয়েছে।
এর মধ্যে বিএনপির মধ্যম সারির নেতাদের পক্ষ থেকে আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশ পরিচালনা, ১১ ডিসেম্বর তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণা এসেছে, যদিও দলের শীর্ষ নেতারা এসব ঘোষণাকে কথার কথা বলছেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘শুধু ডিসেম্বরই নয়, সরকারের পতন পর্যন্ত বিএনপি মাঠের আন্দোলনে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণকে নিয়ে মৃত্যুবাজি (জীবনবাজি) রেখে আন্দোলনে নেমেছে। সেখান থেকে কেউ রুখতে পারবে না।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা জানান, এই সরকার জনগণকে ভয় পায় বলেই বিএনপির গণসমাবেশের আগে বাস ধর্মঘট ডাকা হচ্ছে। বরিশালে সমাবেশের আগের দিন ধর্মঘট ডাকা তারই প্রমাণ।
১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে এবং ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির সমাবেশের দিন নানা দাবিতে বাস ধর্মঘট ডেকেছিল মালিক সমিতি। আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে সমাবেশের ১০ দিন আগেও মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ঘোষণা এসেছে ৪ ও ৫ নভেম্বর তারা বাস চালাবে না।
যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সিনিয়র সভাপতি মামুন হাসানসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।