শরীয়তপুরের নড়িয়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
উপজেলা সদরে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কিছু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আতঙ্কে আশপাশের দোকান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। লোকজন রাস্তা থেকে সরে যায়।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান এসব নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাদশা শেখ ও তার জামাতা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন মোস্তফার সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষই শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় থানার উপপরিদর্শক ফরহাদ হোসেন ও কনস্টেবল মো. জুয়েল ককটেলের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন।
তিনি আরও জানান, দুই পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ গিয়ে ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। জব্দ করা হয় ১০টি ককটেল।
কী কারণে সংঘর্ষ জানতে চাইলে থানা পুলিশ জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা শেখ মোক্তারের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তার ছেলে পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ শেখ ও জামাতা মামুন গত জেলা পরিষদের নির্বাচনে সদস্য পদে ভোটে দাঁড়ান। দুজনই পরাজিত হন। এর পর থেকে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এর জেরে দুই পক্ষের লোকজন বুধবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষে জড়ায়।
পুলিশ জানায়, উপজেলা সদরের কীর্তিনাশা নদীর তীর ও ভাষাসৈনিক গোলাম মাওলা সেতুর ওপর প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ।
এ বিষয়ে মামুন মোস্তফা বলেন, ‘বাদশা শেখের লোকজন আমার কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। আমার কর্মীরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় আমার ৮ জন কর্মী আহত হয়েছেন।’
বাদশা শেখ বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই কাদির শেখের ছেলে মিলন শেখকে মারধর করা হয়। এর জের ধরে কিছু লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় আমি ও আমার ছেলে ইউনুছ মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলাম।’