হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বরকতের স্ত্রী আফরোজা পারভীন ও ইমতিয়াজ হাসান ওরফে রুবেলের স্ত্রী সোহেলী ইমরোজ। ১২টি বাস পোড়ানোর মামলায় তারা আগাম জামিন নেন। দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার বরকত ও রুবেল কারাগারে আছেন।
বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই নারীকে ৮ সপ্তাহের জামিন দেয়।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুল ইসলাম।
আইনজীবী কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, বাস পোড়ানোর অভিযোগে করা মামলায় আমরা আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি নিয়ে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় আগে থেকেই কারাগারে থাকা ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান ওরফে রুবেলের ১২টি বাস পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় গত ১২ মার্চ মামলা হয়।
বাসগুলো দুই ভাইয়ের মালিকানাধীন সাউথ লাইন পরিবহনের। এগুলো পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জব্দ করে ফরিদপুর জেলা পুলিশের জিম্মায় রেখেছিল।
সাউথ লাইন পরিবহনের ২২টি বাস অর্থ পাচার মামলায় আদালতের মাধ্যমে আলামত হিসেবে জব্দ করেছিল সিআইডি ঢাকা। বাসগুলোর মধ্যে ১০টি সেড দিয়ে ঘেরা ছিল এবং ১২টি পাশের নিচু জমিতে রাখা ছিল। গত ১২ মার্চ রাতে ১২টি বাসের একটিতে আগুন জ্বলে উঠতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন অন্য বাসে ছড়িয়ে পড়ে।
বাসগুলো পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাকে নাশকতা উল্লেখ করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল গফফার বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
গত ২১ মার্চ বাস পোড়ানোর ঘটনায় বরকত ও রুবেলের তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন ফরিদপুর শহরের পশ্চিম গোয়ালচামট মহল্লার বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম জনি, পারভেজ মৃধা এবং নদরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামের মোহাম্মদ আলী। গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে দুজন ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলামের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দিতে বরকত-রুবেলের স্ত্রীদের নামও উঠে আসে।
এ অবস্থায় দুই নারী হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।