রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় অজ্ঞান পাটির খপ্পরে পড়েছেন প্রবাসীসহ তিন ব্যক্তি। তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে আব্দুল খালেক নামে এক রিকশাচালককে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে আনা হয়।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা গ্যারেজ ম্যানেজার হান্নান মিয়া জানান, আব্দুল খালেক খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে আলমের গ্যারেজের রিকশা চালান। প্রতিদিন বেলা ২টার দিকে তিনি রিকশা নিয়ে বের হন। সারা রাত রিকশা চালিয়ে পরদিন ভোরে রিকশা নিয়ে গ্যারেজে ফেরেন।
বুধবার সকালে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি খালেকের মোবাইল ফোন থেকে কল করে জানান যে তিনি অচেতন অবস্থায় চানখাঁরপুলে মেডিক্যালের কাছে জনতা ব্যাংকের সামনে পড়ে আছেন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়। তার রোজগারের পুরো টাকাও নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অপর ঘটনায় পল্টনে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে আনার পর চিকিৎসক স্টমাক ওয়াশ করে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করে দেন।
পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম বলেন, ‘আজ (বুধবার) দুপুর দেড়টার দিকে আমরা খবর পেয়ে পল্টন মোড়ের সামনে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসি। তার কাছ থেকে প্রতারক চক্র কী নিয়ে গেছে তা এখনো জানতে পারিনি। জ্ঞান ফিরলে জানা যাবে।’
এছাড়া শাহবাগে রাসেল মিয়া নামে এক দুবাই প্রবাসী অজ্ঞান পাটির খপ্পরে পড়েন। তাকে অচেতন অবস্থা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালেল নিয়ে আসার পর স্টমাক ওয়াশ করে ভর্তি করে নেয়া হয়। এ ঘটনায় মাসুদুল হক আপেল নামে একজনকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে দুবাই থেকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ যাওয়ার পথে গুলিস্তানে পীর ইয়েমেনী মার্কেটের সামনে দিশারি পরিবহনের গাড়িতে ওঠেন। পথে বিস্কুটের সঙ্গে কিছু খাওয়ালে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
তবে জ্ঞান হারানোর আগে তিনি উপস্থিত লোকজনকে উদ্দেশ করে চিৎকার করে বলতে থাকেন- ‘ভাই, এই লোকটি আমাকে কী যেন খাইয়েছে। আমি অসুস্থ বোধ করছি। তখন বাসের যাত্রী ও আশপাশের লোকজন অজ্ঞান পার্টির হোতা মাসুদুল হক আপেলকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেয়।
পরে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সেলিম ঘটনাস্থলে এসে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।
এসআই সেলিম জানান, আটক মাসুদুল হক আপেলের বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায়। বর্তমানে খিলক্ষেত উত্তরপাড়ায় থাকেন। বিস্কুটের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খাওয়ানোর কথাও তিনি স্বীকার করেছেন।
ভুক্তভোগী রাসেলের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার টঙ্গার গ্রামে।