বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ১২ বছর পর গ্রেপ্তার আসামি

  •    
  • ২৬ অক্টোবর, ২০২২ ২২:২১

বগুড়া সদর থানার এসআই জাকির আল আহসান জানান, ব্যবসায়ী আমিনুল ২০০৯ সালে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে হেরে যান। এতে বিপুল অর্থ ব্যয় হওয়ায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ১২ বছর পলাতক থাকার পর আমিনুল ইসলাম লালু নামে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে বগুড়া পুলিশ।

বুধবার বিকেলে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয় আমিনুলকে। এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনার খালিশপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আমিনুল ইসলাম লালু বগুড়া সদরের সাবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা এবং বগুড়া ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এসব থেকে পালিয়ে খুলনার খালিশপুরে তিনি ফিল্টার পানির ব্যবসা করছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার এসআই জাকির আল আহসান।

এসআই জানান, আমিনুল প্রথমে সারের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। পরে পাথর ও এয়ারলাইন ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসাও করেন তিনি।

এ অবস্থায় ২০০৯ সালে সাবগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে হেরে যান আমিনুল। নির্বাচন করতে গিয়ে তার বিপুল অর্থ ব্যয় হয়। এতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

পরবর্তীতে একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্তত দেড় কোটি টাকার অর্থ আত্মসাতের মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। মামলাকারীদের মধ্যে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন।

এসব প্রতিষ্ঠানের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১০ সালে আত্মগোপনে চলে যান আমিনুল। এর মধ্যে ২০১৩ সালে ২টি ও ২০১৭ সালে একটি মামলায় কারাদণ্ড হয় তার।

এসআই জাকির বলেন, ‘আমিনুলের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। এর মধ্যে গত মাসে ৫ বছরের সাজা হয়েছে এমন একটি মামলার পরোয়ানা আসে আমার কাছে। সেই পরোয়ানা পেয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে খুলনার খালিশপুর থেকে আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে নেয়া হলে সেখান থেকে কারাগারে পাঠানো হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর