২২ অক্টোবর খুলনায় যারা বিএনপির সমাবেশে যোগ দিয়েছেন, তাদের বীর উল্লেখ করে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জানিয়েছে দল।
বাস ধর্মঘটের মধ্যে বড় আকারের সমাবেশ করার চার দিন পর বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিনন্দন জানানো হয়। গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এই বিজপ্তি দেয়া হয়।
গত শনিবার এই সমাবেশের আগে খুলনা ও আশপাশের জেলাগুলোতে বাস ধর্মঘট ডাকা হয়। বিএনপির অভিযোগ, তাদের কর্মসূচি বানচাল করতে সরকারের নির্দেশে বাসমালিকরা এই ধর্মঘট ডেকেছেন, যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিএনপির অতীতের ভাঙচুর ও আগুনের কারণে বাসমালিকরা ভয় পেয়েছেন।
সমাবেশের আগে আগে বাস ছাড়াও বন্ধ হয়ে যায় নৌযানসহ অন্য সব গণমাধ্যম। তারপরও সমাবেশস্থল ছিল লোকে লোকারণ্য। দলের নেতা-কর্মীরা দলে দলে ঠিকই যোগ দেন সেখানে।
সেই সমাবেশের কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সভায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পদে পদে বাধা, হামলা, পুলিশের গ্রেপ্তার উপেক্ষা করে সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার জন্য খুলনা বিভাগের বীর জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।’
এই সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট সরকারি যোগসাজশে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়ে বিএনপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘(সভায়) কোনো বাস, ট্রাক, থ্রি-হুইলার, লঞ্চ, নৌকা চলাচল করতে না দেয়ার পরও কর্মসূচির আগের রাতেই সভাস্থলে সাহসী জনগণের অবস্থান এবং পরের দিন জনতার ঢলে পুরো খুলনা শহরে জনতার উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টির জন্য খুলনা মহানগরসহ সব জেলা, পৌরসভায় দলের এবং অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ও জনসাধারণকে অভিনন্দন জানানো হয়।’
খুলনার এই সমাবেশ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলেও মনে করছে দলটি। সেই সঙ্গে আগামী সমাবেশগুলোকে সফল করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানানো হয়।
সভায় ঘূর্ণিঝড়ে সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ৩০ জনের প্রাণহানি ও অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংস, মৎস্যখামার ও ফসল বিনষ্ট হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।