বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকার অনুসারীদের ‘চিনে রাখছে’ বিএনপি

  •    
  • ২৬ অক্টোবর, ২০২২ ১৬:৫৯

বাংলাদেশের মানুষ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আজকে এই প্রেক্ষাপটে কারা জনগণের পক্ষে অবস্থান করছে আর কারা ফ্যাসিস্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আগামী নির্বাচনে গিয়ে জাতির বিরুদ্ধাচরণ করছে তা জাতি পর্যবেক্ষণ করছে : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

যারা সরকারের পক্ষে, তাদের জাতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন ঘটানোর ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত গণ অধিকার পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বুধবার এ কথা বলেন বিএনপি নেতা।

সেখানে খসরু ছাড়াও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নেতা আবদুল কাদের সিদ্দিকী, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকিও বক্তব্য দেন।

গণ অধিকার পরিষদকে শুভেচ্ছা জানিয়ে খসরু বলেন, ‘যারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন সবাই তাদের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। বিশেষ করে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না।’

সরকার সমর্থকদের চিনে রাখার কথা বলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আজকে এই প্রেক্ষাপটে কারা জনগণের পক্ষে অবস্থান করছে আর কারা ফ্যাসিস্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আগামী নির্বাচনে গিয়ে জাতির বিরুদ্ধাচরণ করছে তা জাতি পর্যবেক্ষণ করছে।’

যারা এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন তাদের উদ্দেশে আমীর খসরু বলেন, ‘উচ্ছিষ্টভোগী হবে না। আগামী নির্বাচন রাজনীতিবীদদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া নির্ভর করছে। এই পরীক্ষায় রাজনীতিবিদদের উত্তীর্ণ হতে হলে জনগণের পক্ষে পরিষ্কার অবস্থান নিতে হবে।’

যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন ঘটানোর লক্ষ্যের কথা তুলে ধরে বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিএনপির জনসভায় এত বাধাবিপত্তির পরও মানুষ সেখানে আসছে কেন জানেন? আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছি, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাব, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। জনগণ তাদের প্রতিনিধি ও সরকার গঠন করবে।

‘মানুষ এখন বুঝতে পারছে রাস্তায় নেমে সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া মুক্তির কোনো পথ নাই। আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ, যে যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা হয়েছে, যার যার অবস্থান থেকে আগামী দিনগুলোতে রাস্তায় থেকে ফ্যাসিস্টের পতন ত্বরান্বিত করুন।’

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা যে চেতনায়, মানসিকতায়, ইচ্ছায় পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম, তার তেমন কিছুই বাস্তবায়িত হয় নাই। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র নিরাপদ হবে, পাকিস্তানের ২২ ধনী পরিবারের হাত থেকে আমরা মুক্তি পাব। কিন্তু এর কিছুই আমরা পাই নাই।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এমন একটা সরকার ক্ষমতায় রয়েছে যারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। তারা প্রকাশ্যে ভোটচুরিকে জায়েজ করতে চেষ্টা করে, কখনও মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান দিয়ে, কখনও প্রগতিশীলতার স্লোগান দিয়ে, কখনও উন্নয়নের স্লোগান দিয়ে নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে যেতে হবে। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হচ্ছে একটু গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত, যেখানে নাগরিক অধিকার থাকবে। কোনো শাসক ক্ষমতা দিয়ে সেই অধিকার কেড়ে নেয়ার সুযোগ পাবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর