জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে নিয়ে দলের অব্যাহতি পাওয়া নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গার দেয়া বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেতা-কর্মীরা।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে রাঙ্গার কুশপুতুল পুড়িয়েছেন তারা।
সমাবেশে জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, ‘মসিউর রহমান রাঙ্গাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। নইলে তাকে উপযুক্ত শিক্ষা দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘রাঙ্গা যে ভাষায় বক্তৃতা করেছেন, তা আমাদের রুচিতে বাধে। তবে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা নোংরামির জবাব দিতে জানে। জাতীয় পার্টিতে থেকে কেউ দালালি করলে সে কখনও ক্ষমা পাবে না।’
জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা এখন ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে বিক্ষোভের সভাপতি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যর্থ হবে, গণধোলাইয়ের শিকার হবে।’
জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা বলেন, ‘যখনই জাতীয় পার্টি ঘুরে দাঁড়ায়, তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হয়। জি এম কাদেরের নেতৃত্বে পার্টি এখন দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে কথা বলে দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। এ কারণেই একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
রাঙ্গাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘যারা দালালি করবে, জাতীয় পার্টিতে তাদের জায়গা হবে না। জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা কারো ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হবে না।’
জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ দলের সম্মেলন ডাকাকে কেন্দ্র করে দলে এখন বিভক্তি তৈরি হয়েছে। রওশনপন্থিদের এক আলোচনায় ২৩ অক্টোবর জি এম কাদের প্রসঙ্গে রাঙ্গা বলেন, ‘জাতীয় পার্টির বনানী ও কাকরাইল অফিস থেকে তাকে জুতাপেটা করে তাড়িয়ে দেবে দলের নেতা-কর্মীরা।’
সেদিন তিনি আরও বলেন, ‘জি এম কাদের মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। বিএনপির জোটে যাবেন, সে কথা বলে টাকা নিচ্ছেন আবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকবেন বলেও নিচ্ছেন।’
জি এম কাদের পেট্রোলিয়াম করপোরেশনে কর্মরত থাকার সময় দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হন বলেও অভিযোগ করেন রাঙ্গা।
তার এই মন্তব্যের প্রতিবাদে সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও আলমগীর শিকদার লোটন; ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান ও জহিরুল ইসলাম জহির; যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মো. রাজু ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার।