বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিত্রাংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আলফাডাঙ্গার সেই ভাসমান সেতু, চলাচল বন্ধ

  •    
  • ২৬ অক্টোবর, ২০২২ ১৬:০০

উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়ন ছাড়াও আশপাশের ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের ভোগান্তি দূর হয় সেতুটি চালুর পর। প্রতিদিন উপজেলার ১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এটি দিয়ে পারাপার হতেন। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব এলাকার হাজারো বাসিন্দা। পুনরায় সংস্কার করে সেতুটি চলাচলের উপযোগী করতে প্রায় দশ লাখ টাকার প্রয়োজন। তাৎক্ষণিক এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয় বলে সেতুটি চালু নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে এলাকাবাসীর অর্থায়নে তৈরি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার ভাসমান সেতুটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে চলাচল বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়েছেন দশটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

উপজেলার টগরবন্ধ ইউনিয়নের টিটা এলাকায় মধুমতী নদীর বাঁওড়ে প্লাস্টিকের ড্রাম ও স্টিলের পাত দিয়ে নির্মিত হয়েছিল সেতুটি। এটি ভেঙে পড়ায় পুনরায় সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করতে প্রায় দশ লাখ টাকার প্রয়োজন। তাৎক্ষণিক এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয় বলে সেতুটি চালুর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতুটি। রেলিং, পাটাতন ভেঙে গেছে। এতে অনুপযোগী হয়ে মঙ্গলবার ভোর থেকে সেতু দিয়ে চলাচল বন্ধ রয়েছে।

জানা গেছে, আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্ধ ইউনিয়নের টিটা গ্রামে মধুমতী নদীর বাঁওড়ের ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের মানুষের নিজস্ব অর্থ সহায়তায় ২০২০ সালে সেতুটি নির্মাণ ও চালু হয়। পৌনে ৯ হাজার ফুট লম্বা ও ১২ ফুট চওড়া সেতুটি গ্রামের মানুষ নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ লাখ টাকা।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়ন ছাড়াও আশপাশের ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের ভোগান্তি দূর হয় এটি চালুর পর। প্রতিদিন উপজেলার ১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ সেতুটি দিয়ে পারাপার হতেন। ঝড়ে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব এলাকার হাজারো মানুষ।

এ বিষয়ে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা মো. রেজওয়ান হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমানে সেতুটি দিয়ে চলাচল একেবারে বন্ধ গেছে। ঝড়ে সেতুটির রেলিং ও পাটাতনের বেশ ক্ষতি হয়েছে। এখন এটি মেরামতের পর চালু করতে কমপক্ষে দশ লাখ টাকা প্রয়োজন। টাকা জোগাড় হলে সেতুটি মেরামত করা সম্ভব। তবে টাকার অভাবে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।’

টগরবন্দ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইমাম হাসান শিপন বলেন, ‘এখানে স্কুল, কলেজ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও পোস্ট অফিস রয়েছে। নানা প্রয়োজনে মানুষকে এখান দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বহু আবেদন-নিবেদন করার পরও এখানে কোনো সেতু নির্মাণ না হওয়ায় আমরা টিটা খেয়াঘাট এলাকায় চার টন ক্ষমতাসম্পন্ন এ ভাসমান সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিই।

‘গত সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সেতুটির রেলিং, পাটাতনসহ বিভিন্ন ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে সেতুটি দিয়ে পারাপার একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন করে সেতুটি মেরামত ও চালু করতে প্রায় দশ লাখ টাকা প্রয়োজন। এই মুহূর্তে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়।’

অনিশ্চিয়তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করে টাকার জোগাড় করতে হবে। যতদিন টাকা জোগাড় করা সম্ভব হবে না, ততোদিন সেতুটি বন্ধ রাখতে হবে। তবে কবে নাগাদ চালু হবে ঠিক নেই। এতে প্রায় দশটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।’

সেতুটি সংস্কারে স্থানীয় ও সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সাধ্যমতো সহযোগিতার চেষ্টার আশ্বাস দিয়েছেন আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. এ কে এম জাহিদুল হাসান।

এ বিভাগের আরো খবর