ঢাকার উত্তর অংশে যাতায়াতের প্রধান সড়কটিতে আবার দুঃসহ যানজট পরিস্থিতিতে ভুগল মানুষ। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নির্বিঘ্নে চলতে না পারা গাড়ির সারি একসময় গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ঢাকার মহাখালী পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়।
গাজীপুর থেকে বিমানববন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলার কারণে প্রায়ই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়, বৃষ্টি হলেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
বুধবার ভোরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টঙ্গীর মিলগেট এলাকা থেকে যানজট বাড়তে থাকে রাজধানীর দিকে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ময়মনসিংহ সড়ক, সাভার আশুলিয়াগামী যাত্রীরা।
ঘণ্টার পর ঘণ্টার যানজটে আটকা থাকতে হয় তাদের।
ট্রাফিক পুলিশ বলছে, সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে এখনও টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত অনেক জায়গায় পানি জমে আছে। এ ছাড়া সড়কে নিমার্ণকাজের জন্য রাস্তা সরু হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে এই সড়কে চলাচল করা গাড়ির চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট শুরু হয়।
ভোর ৬টায় রামপুরা বনশ্রী থেকে রওনা হয়ে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত পৌঁছাতে ৯টা বেজেছে বলে জানান মোহাম্মদ গালিব। তিনি বলেন, ‘সাধারণত আধা ঘণ্টায় আব্দুল্লাহপুর পৌঁছে যাই। আজকে গাড়ি সামনে এগোচ্ছিলই না।
‘ময়মনসিংহ রোডে গাড়ি প্রায় থেমে আছে। আমি রেডিসনের সামনে থেকে যানজটে পড়েছি। রেডিসন থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত এক পা এগোলে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে আমাদের গাড়ি। আবদুল্লাপুর পার হওয়ার পর আর কোনো যানজট ছিল না।’
বনানী সড়কে দায়িত্ব পালন করা এক ট্রাফিক সদস্য জানান, অফিসের সময় শুরু হওয়ার আগে মহাখালী পর্যন্ত ছড়িয়েছিল। পরে ক্রমান্বয়ে কমেছে।
উত্তরা পূর্ব ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘টঙ্গী মিলগেট এলাকায় সৃষ্টি হওয়া যানজট বনানী পার হয়ে আরও সামনে পর্যন্ত ছিল। দুপুর ১২টা নাগাদ তা বিমানবন্দর পর্যন্ত আছে। বিমানবন্দর সড়ক হয়ে যারা বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে চেয়েছেন তারা বেশ দুর্ভোগে পড়েছেন।
‘গাজীপুরের সড়ক ক্লিয়ার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এখানে কিছুই করার থাকে না। বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য আমরা উৎসাহিত করছি।’