বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেরপুরে তীর্থ উৎসব ঘিরে বইছে উৎসবের আমেজ

  •    
  • ২৬ অক্টোবর, ২০২২ ১৪:১২

বারোমারী খ্রিস্টান মিশনের ফাদার তরুণ বানোয়ারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তীর্থ উৎসব পালনের জন্য সবাই কাজ করছি। উৎসব পালন করতে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। এখন আমরা অপেক্ষা করছি তীর্থ উৎসব পালনের জন্য।’

শেরপুর সীমান্তের সাধু লিওর খ্রিস্টান ধর্মপল্লী। পাহাড়ের বুকে পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে তৈরি এই ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হয় তীর্থযাত্রা। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম এই তীর্থ উৎসব ঘিরে বইছে উৎসবের আমেজ।

ভারত সীমান্তঘেঁষা বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে আগামী ২৭ ও ২৮ অক্টোবর ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে সকল প্রস্তুতি। লাখো পূণ্যার্থীর এই উৎসবকে ঘিরে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

জানা যায়, প্রতি বছর অক্টোবরের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ফাতেমা রাণীর তীর্থ উৎসব। শুধু শেরপুর নয়, দেশ-বিদেশের প্রায় লাখো পূণ্যার্থী অংশ নেন এই তীর্থ যাত্রায়। মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণকর্মে ফাতেমা রানি মা মারিয়া-এই মূলসুরে এবার ২৫তম তীর্থ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীটিতে ১৯৯৮ সাল থেকে বার্ষিক তীর্থ স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। আর তখন থেকেই পালন করা হচ্ছে তীর্থ উৎসব।

করোনার ধকল কাটিয়ে এবারো মহাসমারোহে হবে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব। প্রায় এক মাস আগে থেকে কাজ শুরু হলেও, এখন চলছে আলোকসজ্জাসহ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ধর্মপল্লীর খ্রিস্ট ভক্তরা।

কাঞ্চন মারাক, শ্লাগাসহ অনেকে বলেন, ‘প্রতি বছরই তীর্থ উৎসব হয়ে থাকে। ইতোমধ্যেই আমরা যারা যুবক-যুবতিরা রয়েছি। কাজ শুরু করে দিয়েছি। প্রতি বছরই এখানে দেশ-বিদেশ থেকে লোকজন আসে। এ বছরও আসবে বলে আমরা আশা করছি। করোনার কারণে কয়েক বছর এ উৎসব ঠিকভাবে পালন করতে পারিনি। এ বছর ভালোভাবে পালন করব। এবার তীর্থ উৎসব পালন করার সব প্রস্তুতিসম্পন্ন হয়েছে। এখন উৎসবের অপেক্ষায় আছি।’

আগত তীর্থযাত্রীদের জন্য সকল ব্যবস্থাসম্পন্ন করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।

বারোমারী খ্রিস্টান মিশনের ফাদার তরুণ বানোয়ারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তীর্থ উৎসব পালনের জন্য সবাই কাজ করছি। উৎসব পালন করতে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। এখন আমরা অপেক্ষা করছি তীর্থ উৎসব পালনের জন্য।’

তীর্থ উৎসবকে ঘিরে পুরো এলাকাজুড়ে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘যার যার ধর্ম ও উৎসব সে সে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর