মেহেরপুরের গাংনীতে নববধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ২৭ দিন আগেই বিয়ে হয়েছিল এই দম্পতির।
উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের কুঞ্জনগর গ্রামের হুদাপাড়ায় মঙ্গলবার মধ্যরাতের কোনো একসময় হত্যার ঘটনা ঘটে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ৩৩ বছরের সাবিনা ইয়াসমিন একই এলাকার বিদুৎ হোসেনের স্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী মটমুড়া ইউনিয়নের কুমারী ডাঙা গ্রামের আ. সাত্তারের মেয়ে ছিলেন।
সাবিনার ভাই নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২৭ দিন আগে বিদুৎ-এর সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সে (বিদুৎ) আমার বোনটিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। সাবিনা আমাকে প্রায় পনের দিন আগে বলেছিল, বিদুৎ-এর শারীরিক সমস্যা আছে। সে জন্য মঙ্গলবার দুপুরে আমি বোনকে শ্বশুর বাড়ি থেকে আনতে যাই। কিন্তু বিদুৎ আমার বোনকে আমার সঙ্গে আসতে দেয়নি।
‘পরে রাত ১টার দিকে খবর আসে আমার বোনকে হত্যা করে বিদুৎ পালিয়েছে। সে প্রতারণার মাধ্যমে আমার বোনকে বিয়ে করে হত্যা করেছে। এখন শুনছি এটা তার পঞ্চম বিয়ে ছিল।’
ওসি বলেন, ‘ভোরের দিকে খবর পাই কুন্জনগর হুদাপাড়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে ধারণা করা হচ্ছে সাবিনাকে মাথার ডান পাশে শক্ত কোনো ভোতা বস্তু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।’
এর আগে বিদ্যুৎ-এর আরও চারটি বিয়ের তথ্য জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘জানতে পেরেছি, বিদুৎ-এর শারীরিক সমস্যা ছিল। অতীতে তিনি আকিতারা খাতুন, ইসমোতারা, আর্জিনা খাতুন ও জান্নাতুল নামে চারজনকে বিয়ে করেছেন। সবশেষে ২৭ দিন আগে বিয়ে করেন সাবিনাকে। কোনো স্ত্রীই তার কাছে এক মাসের বেশি টিকতে পারেননি। ধারণা করা হচ্ছে, শারীরিক অক্ষমতার বিষয়টি ঢাকতে সাবিনাকে হত্যা করেছেন তিনি।’
বিদুৎকে আটকের চেষ্টা চলছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’