বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জোয়ারে খাতুনগঞ্জের দোকানে দোকানে পানি

  •    
  • ২৫ অক্টোবর, ২০২২ ২৩:৪৯

খাতুনগঞ্জের মের্সাস মোহাম্মদীয়া বাণিজ্যালয়ের মালিক মোজাম্মেল হক মিন্টু বলেন, ‘সোমবার রাতে যে পানি ঢুকছে, সারারাত ছিল। এত পানি যে আসবে কল্পনাও করি নাই। রাত ৯টার পর হঠাৎ পানি এসে সব ডুবিয়ে দিল।’

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারী পণ্যের বাজার- চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। এতে অন্তত ৬০০ কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

শহরের চেয়ে তুলনামূলক নিচু এলাকা হওয়ায় খাতুনগঞ্জে বিভিন্ন সময় পানি ওঠে। এ কারণে সিত্রাং মাথায় রেখে দোকানের প্রবেশপথে দেড় থেকে দুই ফুট উচ্চতার দেয়াল তৈরি করে রেখেছিলেন সেখানকার কিছু ব্যবসায়ী। কিন্তু সোমবার রাতে জোয়ারের পানি কোমড় সমান হওয়ায় সেসব কাজে লাগেনি। পানিতে নষ্ট হয়েছে চাল, ডাল, মশলা, পেঁয়াজ, রসুনসহ নানা পণ্য।

মঙ্গলবার ভোরে ভাটার সময় কমে যায় পানি। তবে এরমধ্যেও বিভিন্ন আড়তে কিছু পানি আটকে ছিল। সকালে সেই পানি সেচ দিয়েই দোকান শুরু করেন আড়তদাররা।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ আর আসাদগঞ্জ মিলিয়ে আমাদের ১৫ হাজারের মতো দোকান আছে। এসব দোকানের মধ্যে ৮০ শতাংশ দোকানে পানি ঢুকেছে। পানিতে বিভিন্ন কাঁচা পণ্যসহ বহু মালামাল নষ্ট হয়েছে। এসবের আর্থিক মূল্য হিসাব করলে অন্তত ৬০০ কোটি টাকা হবে।

‘এটা প্রাথমিক ধারণা। পণ্য বিক্রি করার সময় বোঝা যাবে কী আছে আর কী নষ্ট হয়েছে। তাছাড়া আকাশের অবস্থাও সুবিধাজনক না যে নষ্ট হওয়া পণ্য শুকানো যাবে। কিছু কিছু পণ্য আছে পানিতে ভিজলেই নষ্ট হয়ে যাবে। মাছের খাবার হিসেবে বিক্রি করতে হবে। সাড়ে ৩ হাজার টাকা মূল্যের চালের যে বস্তাটা নষ্ট হয়ে গেছে, মাছের খাবার হিসেবে সেটা ১০০-১৫০ টাকায় বেচতে হবে।’

জোয়ারে সোমবার রাতে খাতুনগঞ্জ ছাড়াও চাক্তাই এবং আসাদগঞ্জের বড় একটি অংশ তলিয়ে যায়।

সাম্প্রতিক সময়ে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে এত পানি আর দেখেননি জানিয়ে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘সাধারণত বিভিন্ন সময় জোয়ারের পানি আসে, হাঁটু পরিমাণ পানি হয়। কিন্তু গতকাল কোথাও কোথাও কোমড়ের উপরে উঠেছে পানি। সাঁতার কাটার মতো অবস্থা।

‘আসলে কর্ণফুলীর মোহনায় সিডিএ একটি স্লুইসগেট তৈরি করেছে, এটি এতই ছোট যে নিচ দিয়ে একটা নৌকা পর্যন্ত যেতে পারে না। এতবড় এলাকার পানি কেমনে যাবে?’

খাতুনগঞ্জের মের্সাস মোহাম্মদীয়া বাণিজ্যালয়ের মালিক মোজাম্মেল হক মিন্টু বলেন, ‘সোমবার রাতে যে পানি ঢুকছে, সারারাত ছিল। এত পানি যে আসবে কল্পনাও করি নাই। রাত ৯টার পর হঠাৎ পানি এসে সব ডুবিয়ে দিল।

‘সারা রাত পানিতে ভিজছে নিচের দিকের বস্তাগুলো। এখন কী অবস্থা জানি না, নিচের দিকের পণ্যগুলো বিক্রির সময় বুঝতে পারব। আমাদের এখানে পেয়াঁজ-রসুন আছে, বুঝতেই পারছেন পানি আসলে কী অবস্থা হবে।’

জোয়ারের পানিতে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার হলুদ নষ্ট হয়েছে বলে দাবি চান মিয়া লেইনের মেসার্স সামিরা ট্রেডিংয়ের।

ওই দোকানের ম্যানেজের মো. ফয়সাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের অন্তত ২০০ বস্তা গুড়া হলুদ নষ্ট হয়েছে পানিতে। যার আর্থিক পরিমাণ ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা। এভাবে আমাদের আশেপাশের সব দোকানে পানি ঢুকেছে।

‘এমনকি দোকানে যেন পানি ঢুকতে না পারে সেজন্য দোকানের প্রবেশ পথে কয়েকফুট উচ্চতার দেয়াল দিয়েছি। অনেকের দোকান আবার সমতল থেকে দেড়-দুইফুট উপরে। কিন্তু কিছুতেই কাজ হয়নি। সবার দোকানে পানি ঢুকছে।’

এ বিভাগের আরো খবর