ঋণ না নিয়েও খেলাপির নোটিশ পেয়েছেন রাসেল রানা নামে পঞ্চগড়ের এক কৃষক। জেলা শহরের টুনিরহাট অগ্রণী ব্যাংক শাখা থেকে তাকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ঋণ না নিয়েও ঋণ খেলাপি হওয়ার বিষয়ে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী রাসেল। তিনি সদর উপজেলার গলেহা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৯ অক্টোবর ঋণ খেলাপির অভিযোগে রাসেলকে নোটিশ দেয় অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, টুনিরহাট শাখা।
নোটিশে জানানো হয়- ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় ৬০ হাজার টাকা কৃষিঋণ নিয়েছেন রাসেল। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সেই ঋণ পরিশোধের মেয়াদ পার হয়ে যাওয়ায় সুদাসলে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ৫৩৯ টাকা।
আরও জানানো হয়- ৭ দিনের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে রাসেলের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেবে ব্যাংক।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, এর আগে ২০২০ সালে অগ্রণী ব্যাংক টুনিরহাট শাখার মাঠ সহকারী তবিবর রহমান ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. সফিউল্লাহর বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় তাদের বিরুদ্ধে কয়েক দফা তদন্তও হয়েছে।
পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ শাখা ব্যবস্থাপক সফিউল্লাহকে মুন্সিগঞ্জ শাখায় বদলি করে। আর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এখন চাকরি নেই মাঠ সহকারী তবিবর রহমানেরও।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে শস্য-ঋণ বাবদ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছিল ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
সেই ঋণের বিষয়ে রাসেল বলেন, ‘আমি কোনো দিন ব্যাংকে যাইনি। কিন্তু আমার নামে ঋণ হয়েছে। তাও আবার প্রায় তিন বছর আগে। নোটিশ পেয়ে জানতে পারলাম। আসলে ঋণ বিতরণের সময় দালাল চক্র ও ব্যাংকের কর্মকর্তারা যোগসাজশ করে আমার নামে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাত করেছে।’
বিষয়টির তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান রাসেল।
বিষয়টি নিয়ে অগ্রণী ব্যাংক টুনিরহাট শাখার বর্তমান ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান জানান, ৫-৬ জনের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।