রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিটি মেয়র মোস্তফিজার রহমান মোস্তফাকে। আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এসএম ইয়াসির।
মোস্তফা ও ইয়াসির সদ্য বিলুপ্ত নগর জাতীয় পার্টির কমিটিরও সভাপতি-সম্পাদক ছিলেন।
মঙ্গলবার নগর জাতীয় পার্টির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এই নাম ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে সহ-সভাপতি হিসেবে লোকমান হোসেন ও জাহিদুল ইসলামের নামও ঘোষণা করা হয়।
পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে নতুন নেতৃত্বকে নির্দেশ দেয়া হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিএম কাদের বলেন, ‘অর্থনৈতিক প্রভাব যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর পড়ছে, তাতে ব্যয় বেড়েই চলছে। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন ব্যয় নির্বাহ অসম্ভব হয়ে পড়বে।
‘আমরা আগেই অর্থ সংকটসহ দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির আভাস পেয়েছি। সরকারের উচিত, বড় বড় মেগা প্রজেক্টসহ অপ্রয়োজনীয় যেসব প্রজেক্ট আছে সেগুলো বন্ধ করা।’ রংপুর সিটি করপোরেশনের আগামী নির্বাচনে জাপার প্রার্থী হিসেবে মোস্তফার হাতে লাঙল প্রতীক তুলে দেন দলের চেয়ারম্যান।
সম্মেলনে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘আমি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। কারও দয়ায় মেয়র হইনি। দলের একজন অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তি প্রচার করছেন, তিনি নাকি এক লাখ ভোটের ব্যবধানে আমাকে জয়ী করিয়েছেন।’
জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনসহ নির্বাচন কমিশনের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘রংপুরে নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের কারচুপির ইচ্ছে পোষণ করেলে দাঁতভাঙা জবাব দিতে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টি প্রস্তুত।’
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক চন্নু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আদেলুর রহমান আদেল, রংপুর মহানগর জাপা সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আহসান আদেলুর রহমান।