বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চেয়ারম্যানের ইটভাটায় সিসা কারখানা, বাড়ছে রোগব্যাধি

  •    
  • ২৫ অক্টোবর, ২০২২ ২০:০৯

স্থানীয়রা জানান, শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের ডাংগাপাড়া গ্রামে ওই কারখানায় পোড়ানো ব্যাটারির অ্যাসিডের উৎকট গন্ধে লোকজন অতিষ্ঠ। কারখানার আশপাশের তিন কিলোমিটারের মধ্যে আবাদি জমির ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে, মরছে গাছ। এলাকার মানুষের শ্বাসকষ্টসহ শারীরিক নানান জটিলতা দেখা দিয়েছে।

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ইটভাটায় অবৈধভাবে বসানো সিসা কারখানায় পোড়ানো হচ্ছে ব্যাটারি।

স্থানীয়রা জানান, শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের ডাংগাপাড়া গ্রামে ওই কারখানায় পোড়ানো ব্যাটারির অ্যাসিডের উৎকট গন্ধে লোকজন অতিষ্ঠ। এর বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ কৃষি ও জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

কারখানার আশপাশের তিন কিলোমিটারের মধ্যে আবাদি জমির ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে, মরছে গাছ। এলাকার মানুষের শ্বাসকষ্টসহ শারীরিক নানান জটিলতা দেখা দিয়েছে।এক মাস ধরে চলমান এই কার্যক্রম থামাতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নিয়ামতপুর থানার ওসিসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।

অবিলম্বে সিসা কারখানা বন্ধের দাবিতে শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ইউনিয়নের ডাংগাপাড়া এলাকায় এই কর্মসূচিতে শতাধিক কৃষক অংশ নেন।মানববন্ধনে ডাংগাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জনি আহমেদ বলেন, ‘বিষাক্ত সিসা কারখানা বন্ধের জন্য শ্রীমন্তপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে অনুরোধ জানালে তিনি উল্টো হুমকি দেন। তিনি ওই কারখানার জমির মালিক। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ডাংগাপাড়া-মাদারীপুর গ্রামের মানুষের ক্ষতি হলে আমার কি? আমি মাসে মাসে জায়গার ভাড়া পেলেই হলো।’

নিয়ামতপুরের ডাংগাপাড়া গ্রামে মঙ্গলবার বিকেলে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। ছবি: নিউজবাংলা

সাদী হোসেন নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘সিসা কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়ায় গবাদিপশু ও মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। এ ছাড়া জমির ধানসহ বিভিন্ন জাতের ফল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’

সিসা তৈরিতে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

সিসা কারখানার ম্যানেজার আতিকুর রহমান বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জায়গাটি ভাড়া নিয়ে এই কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। তবে এর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। প্রশাসন থেকে নিষেধ করা হলে এখানে আমরা আর এই কাজ করব না।’

ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে সিসা তৈরির কারখানা বসাতে আমি তাদের নিষেধ করেছি। তারা খুব শিগগিরই চলে যাবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ান বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

পরিবেশ অধিদপ্তর নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মকবুল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আপনার কাছ থেকে অবগত হলাম। খোঁজ নিয়ে সিসা কারখানাটি বন্ধের ব্যবস্থা করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর