জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের দেশে ফেরার দিনে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে শো-ডাউনের পরিকল্পনা করছেন তার অনুসারীরা। ব্যাংককে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে ৩০ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া সংসদ অধিবেশনে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে তার।
জাতীয় পার্টি বর্তমানে কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত। সংগঠনে নতুন করে এই সমস্যা শুরু হয় ৩১ আগস্ট। ওই দিন রওশন এরশাদ হঠাৎ করেই ২৬ নভেম্বর দলের সম্মেলনের ডাক দেন।
রওশনের বিপরীত মেরুতে থাকা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ তার অনুসারীরা এর প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রওশন এরশাদ এমনটা করতে পারেন না।
এরই ধারাবাহিকতায় পরদিন জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল বৈঠক করে রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে দিতে স্পিকারকে চিঠি দেয়। দীর্ঘ এক মাস বিষয়টি ঝুলে থাকার পর দলের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় জি এম কাদেরকে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন দলটির নেতারা।
তবে রওশনের অনুসারীরা বিষয়টি মানতে নারাজ। রওশন ঘোষিত জাপার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশীদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ম্যাডাম ২৯ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। এটাই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত। তিনি দেশে ফিরে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবেই সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবেন।
গত বছরের ৫ নভেম্বর রওশন এরশাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতাল থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি সেখানে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মাঝে চলতি বছরের ২৭ জুন তিনি দেশে ফিরলেও কয়েকদিন পরই আবার সেখানে ফিরে যান।
রওশনপন্থি হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টির এক নেতা নিউজবাংলাকে জানান, দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষকের দেশে ফেরা উপলক্ষে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেদিন বিভিন্ন জেলা থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঢাকায় আনা হবে।
বিমানবন্দর থেকে বনানীর কাকলি হয়ে গুলশান-২ নম্বর পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে নেতা-কর্মীরা ওনার জন্য অপেক্ষা করবেন- এমন প্রস্তুতি নেয়া হতে পারে। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
রওশন ঘোষিত জাপার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশীদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দলের লোকজন নিয়ে আমরা ম্যাডামকে রিসিভ করব। এরপর তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে পারেন।’
সারা দেশ থেকে নেতা-কর্মীদের ঢাকায় আনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। দুই/একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে বিভিন্ন জেলা থেকে কিছু নেতা-কর্মী তো আসবেই।’