ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং'-এর সময় চট্টগ্রামে সাগরে উল্টে যাওয়া ট্রলারের ভেতরই শ্রমিকরা আটকে আছেন বলে ধারণা ফায়ার সার্ভিসের। তবে তারা জীবিত নেই বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা ট্রলারের ভেতর থেকে দেহগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
নিউজবাংলাকে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন মীরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী।
মীরসরাই ইকোনমিক জোন এলাকায় সোমবার রাত ১০টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তখন থেকেই নিখোঁজ ওই ট্রলারে থাকা ৮ শ্রমিক।
ইমাম হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, এখনও কোনো মরদেহ উদ্ধার হয়নি। উদ্ধার অভিযান চলছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই নৌযানে সবার মরদেহ থাকতে পারে। ট্রলারের দরজা বন্ধ। সেটি খোলার চেষ্টা চলছে।
এই প্রক্রিয়ায় কত সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
নিখোঁজ শ্রমিকরা বালু তোলার কাজ করতেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে।
তারা হলেন শাহীন মোল্লা, ড্রেজারচালক ইমাম মোল্লা, মাহমুদ মোল্লা, আল আমিন, তারেক ও আবুল বশর। তাদের সবার বাড়ি পটুয়াখালীর জৈনকাঠি এলাকায়।
ইমাম হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যা জেনেছি, ওই শ্রমিকরা বালু উত্তোলনের কাজ করতেন এবং রাতে তারা ট্রলারেই ছিলেন। রাত ১০টার দিকে তাদের ট্রলারটি উল্টে যায়।’
মীরসরাই থানার ওসি কবির হোসেন জানান, ওখানে অনেক কাদা, ট্রলারটি উল্টে কাদায় আটকে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ভেতরে নিখোঁজ শ্রমিকদের মরদেহ আছে।
তবে ডুবুরিরা দেখেছেন নিচে গিয়ে ট্রলারের সামনের অংশে একটা কেবিনের মতো জায়গা আছে, ফাঁক দিয়ে সেখানে ঢুকে সার্চ করেছেন। কিছুই পাননি। তবে পেছনের দিকে মরদেহগুলো থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরী জানান, মরদেহ উদ্ধার হয়নি। তবে আশপাশে অন্যান্য ট্রলারের লোকজন নিশ্চয়তা দিয়ে বলতেছে, উল্টে যাওয়া ট্রলারের ভেতর নিখোঁজ শ্রমিকদের মরদেহ আছে। তাই ট্রলারটি উদ্ধার হলে ভেতরে সার্চ করলে বোঝা যাবে মরদেহ আছে কি নেই।