দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার শপথ করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর বক্তব্য ‘শঙ্কার ভিত্তিতে’ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সচিবালয়ে মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ব্যবহার না করার বিষয়ে জ্বালানি উপদেষ্টার বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী নসরুল বলেন, ‘যে কথাটা আসছে... শঙ্কার ভিত্তিতে। যদি দেশের অবস্থা, সারা বিশ্বের অবস্থা খুব খারাপের দিকে যায় তাদের কথা মনে হয়।
‘তবে আমি মনে করি এত শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা চেষ্টায় আছি ভালো অবস্থায় যাব। আমাদের সব পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সামনে এগোতে হবে। এটাই বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমি মনে করি আমরা এটা সামাল দিতে পারব।’
রোববার রাজধানীতে জ্বালানি নিয়ে এক সেমিনারে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘সাশ্রয়ী হতে গিয়ে কষ্ট করতে হলে সবাইকে তা করতে হবে। সবাইকে তৈরি থাকতে হবে। বিদ্যুৎ ব্যবহার কম করব। দরকার হলে দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহারই করব না। আমরা শপথ নেব দিনের বেলায় কেউ বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘এমনও দিন ছিল যখন রাতে আমরা বাতি দিয়ে থেকেছি। দিনের আলোয় সব কাজ করেছি। এত আরাম-আয়েশে থাকতে হবে কেন? একটু কম করলেই হয়।’
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার না করার অনুরোধও করেন তিনি। বলেন, ‘আমরা চাইলে এসি বন্ধ রাখতে পারি, বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে পারি। সারা দেশে যে পরিমাণ এসি চলে, তাতেই ৫ থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা আছে। আমরা এসি বন্ধ রাখব বা কম চালাব। এতে দুই-তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সেভ হবে। গ্যাস সাশ্রয় হবে।’
‘লোডশেডিংয়ের সুযোগ নেই’
দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা কমে আসায় লোডশেডিংয়ের সুযোগ এখন নেই বলে জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন লোডের পরিমাণ কম। সুতরাং লোডশেডিংয়ের এখন সু্যোগ নেই।
‘আমরা আশা করছি যে এখান থেকে যত দ্রুত সম্ভব বের হয়ে আসার। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে কত দ্রুত লোডশেডিং থেকে বেরিয়ে আসতে পারি সে রকম ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি কয়েক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসব।’