বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিত্রাংয়ে ভেসে গেল মহালের শুঁটকি

  •    
  • ২৫ অক্টোবর, ২০২২ ১০:৫২

ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখতে মঙ্গলবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর (১ নম্বর সমিতিপাড়া) আক্তার। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতে এখান থেকে মানুষ সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে সব মাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এসব শুঁটকি মহালে প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এখন পথে বসবে। আমি জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।’

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাতভর ঝোড়ো বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে। সমুদ্রে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৭-৮ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে এখানকার শুঁটকি মহালের প্রায় পুরো এলাকাই প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শহরের সমিতিপাড়া ও নাজিরারটেকের শুঁটকি মহাল।

ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিদের প্রাথমিক ধারণা, শুঁটকি মহালে মজুত থাকা লবণ, কাঁচা মাছসহ প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এ ছাড়া সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে টেকনাফের সেন্ট মার্টিন, শাহপরীর দ্বীপ, পেকুয়ার রাজাখালী, মগনামা, সদরের গোমাতলী, চৌফলদণ্ডী, মহেশখালীর মাতারবাড়ী, সোনাদিয়া দ্বীপ, ধলঘাটা, কুতুবজোমসহ আরও কয়েকটি এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দোকানপাট, ঘরবাড়ি হারিয়েছেন এসব এলাকার মানুষ। রাতভর ঝোড়ো বৃষ্টি আর ঘূর্ণিঝড়ের পর মঙ্গলবার সকাল থেকে চিত্রাংয়ের ক্ষত ভেসে ওঠে এসব এলাকায়।

শুঁটকি মহাল মালিক আব্দুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুঁটকি প্রক্রিয়ার কার্যক্রম চলছিল, অনেক মাছ মজুত ছিল। সব বৃষ্টিতে ভিজে, পানি উঠে নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক মাছ ছিল যেগুলো শুকাতে দেয়া হয়েছিল, তাও নষ্ট হয়ে গেছে। আমি এখন একেবারে নিঃস্ব।’

আরেক মহাল মালিক জহির কোম্পানি। তিনি বলেন, ‘মহালের সব অবকাঠামো ভেঙে গেছে, পানিতে মাছ ভেসে গেছে। আমার বড় ক্ষতি হয়ে গেল। এখন পরিবারের নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি। ব্যাংক ঋণও আছে। কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।’

নাজিরারটেকের শুঁটকি মহাল ব্যবসায়ী নেতা জসিম উদ্দিন রাহেল বলেন, ‘জোয়ারের প্লাবিত পানি নামতে শুরু করেছে। এখন শুঁটকি মহালের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ভেসে উঠছে। সব মাছ নষ্ট হয়ে গেছে, ভেসে গেছে। একেকটি মহালে এক থেকে দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখতে মঙ্গলবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর (১ নম্বর সমিতিপাড়া) আক্তার। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতে এখান থেকে মানুষ সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে সব মাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এসব শুঁটকি মহালে প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এখন পথে বসবে। আমি জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।’

এদিকে সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘রাতে দ্বীপের চারপাশে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার প্রায় ২ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়। ভাটায় জোয়ারের পানি নামতে শুরু করেছেন। এখন পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক।’

কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামাল বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের সোনাদিয়া দ্বীপের শুঁটকি মহালে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকার অনেকের ঘড়বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাতেই অনেককে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছিল। বিষয়গুলো উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবাল বলেন, ‘পুরো জেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিল। যাদের খাবার থেকে শুরু করে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে। সকালে পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় তারা ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে কিছু এলাকায় ক্ষতি বেশি হয়েছে। আমাদের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত পড়ে বলা যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর