ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাজধানীতে সোমবার দিনভর বৃষ্টি হয়েছে, একই অবস্থা ছিল রাতেও। এতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা; কোথাও কোথাও উপড়ে যায় গাছ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টি নেই। রোদের দেখা মিলেছে। বেলা বাড়তে থাকলেও আগের বৃষ্টির পানি সরেনি অনেক সড়ক থেকেই। তবে চেষ্টা চলছে ভেঙে যাওয়া গাছও সরানোর।
মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, পল্টন, পূর্ব তেজতুরী বাজার, মহাখালী, ধানমন্ডি, বনানী, বাড্ডা, পুরান ঢাকার অনেক জায়গা, যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এখনো পানি জমে আছে। তবে সোমবারের তুলনায় পানি কিছুটা কম।
আগের দিন রাত পর্যন্তও ছিল যানজট। সেই অবস্থাও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে মঙ্গলবার।
রাজধানীর একটি এলাকায় উপড়ে পড়েছে গাছ। ছবি: নিউজবাংলা
মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় অফিস করেন মো. আলম। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় এখনো পানি আটকে আছে। অনেক জায়গায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে আছে।’
বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমার অফিস বনানী। নেভি হেডকোয়ার্টার থেকে বনানীর দিকে আসার সময় রাস্তায় পানি দেখলাম। পানির কারণে গাড়ি আস্তে চলছে।’
সুমন মিয়া নামের একজন বলেন, ‘মোহাম্মদপুর বসিলা এলাকায় রাস্তায় মাঝে মাঝে পানি জমে আছে। তবে গতকালের থেকে পানি কম এখন।’
রাজধানীর শান্তিনগর, বসুন্ধরা সিটির সামনে ও ভেতরে, শাহবাগসহ বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু বড় গাছ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
পানি জমে আছে জনসরোডে। ছবি: নিউজবাংলা
মেহেরুন নাহার নামের একজন বলেন, ‘বসুন্ধরা এলাকায় কয়েকটি গাছ পড়ে আছে। এখনো সরানোর কাজ চলছে। তবে পানি কমে গেছে রাস্তার।’
ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রাজধানীতে ৪৭টি গাছ অপসারণ করেছে বাহিনীটি। ঝড়ের সময় ১৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় ২ জন আহত হন। এ ছাড়া সারা দেশে ফায়ার সারভিস ৩২৯টি গাছ অপসারণ করেছে। ঝড়ের সময় সারা দেশে ৩৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।