রাজধানীর কদমতলী থেকে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ নামে ৪ বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে হত্যার অভিযোগে আটক করা হয়েছে শিশুটির সৎপিতা মোহাম্মদ রাজুকে।
পুলিশের দাবি, বিছানায় প্রস্রাব করায় আব্দুল্লাহকে থাপ্পড় দেন রাজু। তাতে বিছানা থেকে নীচে পড়ে মৃত্যু হয় শিশুর।
ঘটনাটি কদমতলীর নামা শ্যামপুর গোপীখ্যাত এলাকার।
সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন কদমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজিব দে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যতটুকু জেনেছি, আব্দুল্লাহর বাবা রুবেল হোসেন অন্যত্র বিয়ে করায় মা কলি বেগম দুই বছর আগে রাজুকে বিয়ে করেন। রোববার রাতে বিছানায় প্রস্রাব করায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটিকে থাপ্পড় মারেন রাজু। এ সময় আব্দুল্লাহ বিছানা থেকে পড়ে মারা গেছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
‘আব্দুল্লাহকে সকালে তার মা মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তুমুল বৃষ্টির কারণে এলাকাটিতে পানি জমে ছিল। বিলম্বে সংবাদ পাওয়ায় মরদেহ উদ্ধারে দেরি হয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে প্রথমে কাউন্সিলর সেখানে যান। এরপর বিকেলে সংবাদ পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।’
পুলিশ শিশুর মাসহ স্থানীয়দের বক্তব্য শুনে রাজুকে আটক করে থানায় নিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনিক গোপ বলেন, ‘বিকেলে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর আসে যে শ্যামপুর কফি মসজিদের পাশে টিনশেড বাসায় পিতার নির্যাতনে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরে ওই বাসায় গিয়ে শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়।
শিশুটির মা কলি বেগম জানান, আব্দুল্লাহর সৎপিতা রাজু ভোর ৬টার দিকে শিশুটিকে চড়-থাপ্পড় মেরে খাট থেকে ফেলে দেন। সঙ্গে সঙ্গেই শিশুটি মারা যায়। সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাজার থেকে কাফনের কাপড় এনে শিশুটিকে দাফনের চেষ্টা করেন রাজু।
এসআই অনিক বলেন, ‘খবর পেয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার ও রাজুকে আটক করা হয়েছে। শিশুটির মুখমণ্ডলের কয়েক জায়গায় জখমের দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।’