কোনো সন্তান সম্ভবাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলেই চিকিৎসকরা তার সিজার অপারেশনের তোড়জোর শুরু করেন। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল।
বিদেশি একটি সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় গত এক বছরে এই হাসপাতালটিতে সিজারিয়ান ডেলিভারির হার কমিয়ে ৩৭ শতাংশে আনা হয়েছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার বিকেলে আশুলিয়ার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক, নার্স ও প্রসূতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এসব তথ্য জানা গেছে।
নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. দবির উদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালটির প্রকল্প পরিচালক ডা. খুরশিদ তালুকদার ও অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফেরদৌস বেগমসহ সংশ্লিষ্ট আরও অনেকেই।
সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সিজারিয়ান ও নরমাল ডেলিভারির নানা দিক উপস্থাপন করেন। এ সময় তারা সিজারিয়ান ডেলিভারিকে নিরুৎসাহিত করে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসবের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
এ লক্ষ্যে গত প্রায় এক বছর ধরে বিদেশি সংস্থা ‘বিল অ্যান্ড মেন্ডিলা গেটস ফাউন্ডেশন’ এর পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন অনেকাংশেই কমিয়ে এনেছেন।
ডা. দবির উদ্দিন আহম্মেদ জানান, তাদের হাসপাতালটিতে ২০১৭ সালে ২ হাজার ডেলিভারির মধ্যে সিজারিয়ানের হার ছিল ৫৮-৭৩ শতাংশ। গত এক বছরে তা কমে ৩৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
হাসপাতালটির প্রকল্প পরিচালক ডা. খুরশিদ তালুকদার বলেন, ‘সিজারিয়ান অপারেশন কমিয়ে আনতে গত বছরের আগস্টে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে প্রধান করে ২ বছর মেয়াদী গবেষণা শুরু করেছিল বিল অ্যান্ড মেন্ডিলা গেটস ফাউন্ডেশন। এর সঙ্গে আরও সাতটি হাসপাতালকেও সহযোগী হিসেবে নিয়ে কাজ করছে এ সংস্থাটি।’