ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ প্রাণহানি এড়াতে জেলা প্রশাসন তৎপর হলেও নোয়াখালীর হাতিয়ার বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে নারাজ।
জেলার দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল এবং নদী-তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে সোমবার সকাল থেকে তৎপরতা চালায় জেলা প্রশাসন। তারপরও হাতিয়া উপজেলার কিছু দুর্গম চরাঞ্চলের নারী, শিশুসহ কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ৪০১টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। সে সঙ্গে উপকূলে ৮ হাজার ৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার মাইকিং করে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ে ঝুঁকির আশঙ্কা জেনেও ভিটেমাটি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা।
উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানায়, ঝুঁকিতে থাকা লোকজনের জন্য বিভিন্ন বিদ্যালয়সহ ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেসব স্থানে লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নেয়ার সুযোগ রয়েছে। অথচ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েকটি কেন্দ্রে মাত্র তিন হাজার মানুষ আশ্রয় নেন।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রায় চার হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবক এবং প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে মাইকিং করেন। মানুষ নিজের বাড়িঘর ও গৃহপালিত প্রাণীগুলো ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করে।
‘আমি নিজে বেড়িবাঁধে নেমে একপ্রকার জোর করে কিছু মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। আবার অনেকের ভাবনা, তেমন কিছুই হবে না। তবে বেড়িবাঁধসংলগ্ন বাসিন্দারা সন্ধ্যার দিকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসেন।
‘স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট উচ্চতায় পানি উঠলে চরগুলোর নিম্নাঞ্চল ডুবে যায়। এ অবস্থায় চরের বাসিন্দারা বিপদে পড়তে পারেন।’