বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদক মামলার তদন্তে মিলল ২ বছর আগে নিখোঁজের দেহাবশেষ

  •    
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:৪৩

বাসন থানার ওসি মালেক খসরু জানান, নিখোঁজ মিনারুল নিজেও মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তার নামে বিভিন্ন থানায় ৬-৭টি মামলা রয়েছে।

গাজীপুরে মাদক মামলার তদন্তে গিয়ে পাওয়া গেল দুই বছর আগে নিখোঁজ হওয়া এক ব্যাক্তির দেহাবশেষ।

সোমবার বিকেলে নগরীর নান্দন কড্ডা এলাকা থেকে মাটি খুঁড়ে নিখোঁজ ওই ব্যক্তির দেহাবশেষ উদ্ধার করে বাসন থানা-পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া ওই দেহাবশেষ জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার পলাশতলা গ্রামের মো. মিনারুলের। ৪১ বছর বয়সী মিনারুল পরিবার নিয়ে কোনাবাড়ি এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) রেজওয়ান আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত শনিবার ২ হাজার ৭০০ ইয়াবাসহ ৯টি মাদক মামলার আসামি মো. আলমকে গ্রেপ্তার করে বাসন থানা-পুলিশ। পরে রিমান্ডে এনে তাকে সহযোগীদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

একপর্যায়ে আলম জানান, ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাতে নান্দন কড্ডা একটি বাড়িতে মাদক ব্যবসার ভাগ-বাঁটোয়ারা ও একটি হত্যা মামলা (মিনারুলের বড় ভাই মিজান হত্যা) তুলে নিতে চাপ দিলে মিনারুলের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে আলমসহ ৪-৫ জন লোহার রড দিয়ে উপর্যুপরি পিটিয়ে মিনারুলকে হত্যা করেন। পরে ওই বাড়ির সামনেই একটি খালি জায়গায় তার মরদেহ মাটিচাপা দেয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন মিনারুল।

রেজওয়ান আহমেদ আরও জানান, মিনারুল নিখোঁজের ১০ দিন পর তার স্ত্রী মৌসুমী কোনাবাড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এ ঘটনার প্রায় দুই বছর পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মিনারুলকে হত্যা ও মাটিচাপা দেয়ার কথা স্বীকার করেন আলম। পরে তার দেয়া তথ্যে সোমবার বিকেলে মাটি খুঁড়ে মিনারুলের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।

বাসন থানার ওসি মালেক খসরু জানান, নিখোঁজ মিনারুল নিজেও মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তার নামে বিভিন্ন থানায় ৬-৭টি মামলা রয়েছে। দেহাবশেষ উদ্ধারের পর ডিএনএ টেস্টের জন্য সিআইডিতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

গ্রেপ্তার আলম ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।

এ বিভাগের আরো খবর