ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মানিকগঞ্জে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুট এবং চাঁদপুর থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে চালু আছে ফেরি পারাপার।
পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পদ্মা উত্তাল হয়ে বড় বড় ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে। এতে নৌ দুঘর্টনার আশঙ্কায় তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বর্তমানে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ২০টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ১৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার লঞ্চ চলাচল শুরু করা হবে।
ফেরিও কমানো হয়েছে। এই নৌরুটে ১৭ টি ফেরির মধ্যে ১১টি এখন যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ব্যবহার করা হচ্ছে।
চাঁদপুরেও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। তিনি জানান, প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সতর্ক অবস্থাকে থাকতে বলা হয়েছে। মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর, ওহাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে ১২১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
চাঁদপুর নদী বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সিত্রাংয়ের মোকাবেলায় চাঁদপুর নদী বন্দর এলাকায় জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমন্বয় করবে। অবস্থান বুঝে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শাহ মো. শোয়েব জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী এলাকায় ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে।
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের দিকে আরও এগিয়ে এসেছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশজুড়ে ঝড়ো হাওয়া বইছে। এ কারণে বিআইডব্লিউটিএ পরিচালিত সব ধরনের যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী নৌযান বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সব ধরনের উদ্ধারকারী নৌযানকে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে এটি উপকূল অতিক্রম শুরু করবে।
পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে সন্দ্বীপের মাঝামাঝি অংশ দিয়ে সিত্রাং বাংলাদেশে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।