বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গৃহবধূকে কামড় দেয়া কুমিরটি এখনও শনাক্ত হয়নি

  •    
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:৪৯

মনসুরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা রাজ্জাক মোল্লা জানান, তার স্ত্রী পারুলী বেগমের হাতে তিনটি সেলাই লেগেছে। ডান পায়েও কুমিরের কামড়ের ক্ষত রয়েছে।

কুমিরের কামড়ে এক গৃহবধূ আহত হওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে ফরিদপুর সদর উপজেলার চর-অধ্যুষিত নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের মনসুরাবাদ গ্রামে।

কুমিরটি বর্তমানে ওই গ্রামের আধা কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খালে অবস্থান করছে বলে ধারণা বাসিন্দাদের। এ অবস্থায় তারা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে জলাধারটি পাহারা দিচ্ছেন।

তবে সোমবার বিকেল পর্যন্ত কুমিরটির অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি বা কারও নজরে আসেনি।

এদিকে গৃহবধূকে কামড়ে দেবার ঘটনায় রোববার বন বিভাগের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

দলের সদস্য ফরিদপুর সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, পদ্মা নদীর পানি বাড়ার সময় ফরিদপুর সদর উপজেলার চর-অধ্যুষিত নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের মনসুরাবাদ গ্রামের একটি জলাধারে আশ্রয় নেয় কুমিরটি। পানি কমে গেলে সেটি ওই জলাধারে আটকে পড়ে।

তিনি জানান, শনিবার ভোরে ফজরের নামাজের সময় গৃহবধূ পারুলী বেগমের হাঁস-মুরগিগুলো ডাকাডাকি করছিল।

এ অবস্থায় আশপাশে শিয়ালের উৎপাত আছে জেনে তিনি তার হাঁস-মুরগিগুলো দেখতে যান। ওই সময়ই কুমিরটি তাকে কামড় দেয়।

পরে পারুলীর স্বামী বাঁশ দিয়ে আঘাত করলে কুমিরটি খালে নেমে যায়।

এ ঘটনায় মনসুরাবাদ গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামের কৃষক রোকন প্রামাণিক জানান, তাকে ওই জলাধারের পাশ দিয়েই জমিতে যেতে হয়। এ ঘটনার পর থেকে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে আছেন।

আহত পারুলী বেগম ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন তার স্বামী রাজ্জাক মোল্লা। তিনি আরও জানান, পারুলী বেগমের হাতে তিনটি সেলাই লেগেছে। ডান পায়েও কুমিরের কামড়ের ক্ষত রয়েছে।

বর্তমানে ওই খালটির চারপাশে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে জানিয়ে বন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চৌকিদারদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জলাধারের কিছু অংশে কচুরিপানা রয়েছে। কুমিরটি সেখানেও লুকিয়ে থাকতে পারে। এ জন্য গ্রামের বাসিন্দাদের জলাধারটিতে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। কুমিরটি মাঝেমধ্যে খাবারের সন্ধানে ডাঙায় উঠে আসে। এ অবস্থায় কুমিরটির দেখা পেলে জাল ফেলে আটকে বন বিভাগে খবর দিতে বলা হয়েছে।

নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক জানান, গত বছরও ওই ইউনিয়নের ৩৮ দাগ এলাকায় নোনাপানির একটি কুমির খাবারের সন্ধানে ডাঙায় এলে এলাকাবাসীর সহায়তায় ধরা হয়। ৩৮ দাগ এলাকাটি মনসুরাবাদ গ্রামের কাছাকাছি।

বিষয়টি খুলনার বন্যপ্রাণী প্রকৃতি ও সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভূঁইয়া বলেন, ‘সেখান থেকে একটি প্রতিনিধিদল দুয়েক দিনের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর