বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘নেতা বেশি শ্রোতা কম’ বলে ক্ষোভ সৈয়দ ইবরাহিমের

  •    
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:৪৮

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘বর্তমান সরকার ও সরকারের লোকেরা বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আর ফিরে আসবে না। ১৯৯৬-এর আন্দোলনে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে বাধ্য হয়েছে। সেই সময়ের মতো আন্দোলন করতে পারলে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।’

সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠানে ‘শ্রোতার চেয়ে নেতা কম’ উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দলটির এই নেতা বলেছেন, সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রথম অনুষ্ঠানেই দেখা যাচ্ছে নেতার সংখ্যা বেশি, শ্রোতার সংখ্যা কম। বক্তৃতার সিরিয়ালে আমি ১৭ নম্বরে। অথচ সাংবাদিক ছাড়া এখানে ১৭ জন বক্তা নেই।’

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।

নিজ বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘একটা অযুহাত পাওয়া গেল, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কথা আমরা চারদিন আগে থেকে জানি। চারদিনেও যদি কোনো পরিকল্পনা করতে না পারি তাহলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখা তো বৃথা!’

তিনি বলেন, ‘নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা সাহেব চলে গেছেন বক্তব্য দিয়ে। এই আত্মসমালোচনা যদি করা না হয় প্রথম দিনে, আমার নামে যত সুন্দর কথাই বলুন খুশি হব না। প্রশংসা শুনতে আসিনি, বাস্তবতার নিরিখে এসেছি।’

সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সঙ্গে বড় বড় জনসভায় আমি গিয়েছি। উনি চার ভাগের তিন ভাগ সময় পার হওয়ার পর আসতেন। ওনার (খালেদা জিয়ার) আগের বক্তা কী বলতেন তা উনি শুনতেন না। আমি ঠিক উল্টো থিওরিতে বিশ্বাস করি, ছোট থেকে বড় সবাই কী বলছেন সেটা শুনতে হবে।

‘দেশের অর্জন, উন্নয়ন, অবনতির জন্য কোনো রাজনৈতিক দল এককভাবে দায়ী নয়। এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ২০২২ সালে এসেও দেশে কোনো ক্ষতি হলে তা সবারই ক্ষতি।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ও সরকারের লোকেরা বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আর ফিরে আসবে না। ১৯৯৬-এর আন্দোলনে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে বাধ্য হয়েছে। সেই সময়ের মতো আন্দোলন করতে পারলে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।

‘গণতন্ত্রের জন্য অনেকেই জীবন দিয়েছেন্ তাদের রক্ত যদি বৃথা যায় তাহলে আমাদের সেই জীবন দেয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। আমরা সফল রক্ত দেয়ার পক্ষপাতী।’

সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ক আহসান উল্লাহ শামীমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দৈনিক নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কে. এম আবু তাহের, তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জাতীয় লীগের নেতা শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, ছারছিনার পীর আরিফ বিল্লাহ ও সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম।

এ বিভাগের আরো খবর