বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করা একটি ফ্লাইটের আরোহীরা ঘণ্টা দেড়েক সময় উৎকণ্ঠায় কাটিয়েছে।
সোমবার বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পর কক্সবাজারে অবতরণের কথা ছিল ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের। বাতাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে সেটি অবতরণ করে বিকেল তিনটায়।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এই বিমানবন্দরে সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের আগে সব শেষ অবতরণ করা ফ্লাইটের আরোহীদের এই দেড় ঘণ্টা সময় ছিল ভীষণ কঠিন।
উড়োজাহাজটিতে ৩৫ যাত্রী ছিল। এদের একজন কলকাতা থেকে আসা শ্রীদেবী লাহেরী। তার বর্ণনায় ফুটে উঠেছে সমুদ্রের আকাশে বাতাসের তীব্রতার কথা।
তিনি বলেন, ‘ঝড়ের কবলে পড়ায় আকাশে ৫-৬ বার চক্কর দেয় বিমান। তখন ভয়-আতঙ্কে ছিল সবাই। ছেলে-মেয়ে সহ পরিবারের আটজন নিয়ে ভয়ে ছিলাম। কিন্তু পাইলটের দক্ষতায় অবশেষে অবতরণ করেছি।’
আরেক যাত্রী আব্দুল করিম বলেন, ‘অনেকবার বিমানে কক্সবাজার এসেছি। এবারের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর। মনে করছিল এই বুঝি সমুদ্রে পড়ে গেলো বিমান। কয়েক দফা চেষ্টার পর অবশেষে অবতরণ।’
ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান এসেছেন বেড়াতে। তার পরিবারের সদস্যরাও চরম ভয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘ঝড়ো বাতাসের কারণে কোনোভাবেই ফ্লাইটটি অবতরণ করতে পারছিলেন না পাইলট। দীর্ঘ চেষ্টার পর তিনি বিমানটি কন্ট্রোলে এনে আমাদের ভয়মুক্ত করেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তজা হাসান জানান, ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝড়ো বৃষ্টি ও অতিরিক্ত বাতাসের কারণে বিমান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। যে ফ্লাইটটি তিনটার দিকেকে এটি অবতরণ করে, সেটির ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও টিকিট বাতিল করে আর যায়নি।’