শাহবাগে সমাবেশে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদে বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ ডিসেম্বর ঠিক করেছে আদালত।
সোমবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য দিন ঠিক করা ছিল। তবে এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা না করায় ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর নতুন এ দিন ঠিক করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন, ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি অনিক রায়, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দীন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুনয়ন চাকমা, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সভাপতি তৌফিকা প্রিয়া, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দীপ ভট্টাচার্য, ‘ল’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য শান্তা ও ছাত্র ফেডারেশনের জুবা মনি, জনৈক সানি আবদুল্লাহ, জাবিল আহম্মেদ জুবেন, জাওয়াদ, বাঁধন, আদনান, শাহাদাত, ইভান, অনিক, দিয়া মল্লিক, তানজিদ ও তামজিদ।
মামলায় বাম সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেলসহ পুলিশের কাজে বাধা দেওয়াসহ হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যা পৌনে সাতটার সময় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা বিনা অনুমতিতে বেআইনিভাবে শাহবাগ মোড়ের পাকা রাস্তার ওপর বিক্ষোভ সমাবেশ করার নামে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন। বিক্ষোভকারীদের পুলিশ থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা লাঠিসোঁটা ও ইটের টুকরা দিয়ে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশের ওপর আঘাত করে মারধর করেন। আসামিদের লাঠির আঘাতে রমনা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার বায়েজীদুর রহমান, সহকারী কমিশনার (প্যাট্রল) বাহা উদ্দীন ভূঞা আহত হন। বিক্ষোভকারীদের লাঠির আঘাতে উপপরিদর্শক রাশেদুল আলম আহত হন।
পরে পুলিশ নিজেদের জানমাল ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লাঠিপেটা করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়৷
এই ঘটনায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করে পুলিশ।