ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে মাহাবুবুল ইসলামকে বহিষ্কারের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম আশরাফ জনস্বার্থে এ রিটটি করেন।
এতে মাহাবুবুলকে বহিষ্কার করতে আইনজীবী সমিতিকে মানিকগঞ্জের জেলা জজের চিঠির বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
রিটে আইন সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকের চেয়ারম্যান, আইনজীবী নিবন্ধন সংস্থা বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, মানিকগঞ্জ জেলা জজসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, গত ১০ অক্টোবর মানিকগঞ্জের আদালত প্রাঙ্গণে মাহাবুবুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন আইনজীবী ‘বিচার বিভাগে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতি আর ন্যায়বিচার এক সঙ্গে চলে না’- এই স্লোগান সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন। এরপর সহযোগীদের নিয়ে মানববন্ধনও করেন।
কর্মসূচিতে তারা দাবি করেন, অ্যাফিডেভিট করতে নির্দিষ্ট ফি থেকে অতিরিক্ত ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এক হাজার টাকার কমে কোনো নকল সরবরাহ করা হচ্ছে না। রেকর্ড রুম থেকে নথি পেতে হলে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়।
তাদের অভিযোগ, জেলার বিচার বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিচার প্রার্থীদের মামলা খরচ অনেক বেড়ে যায়।
এই কর্মসূচির পর মাহাবুবুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মানিকগঞ্জের আইনজীবী সমিতিকে চিঠি দেন জেলা জজ জয়শ্রী সমদ্দার।
এরপর সেই আইনজীবীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। পাশাপাশি তাদেরকে ১৫ কার্যদিবসের জন্য তাকে আইন পেশা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
একইদিন বিকালে নোটিশ পাওয়ার পর পরই বিকালে আদালত চত্বরের সামনে শহীদ রফিক সড়কে আইনজীবী মাহাবুবুর ইসলাম গলায় ‘ঘুষের চেয়ে ভিক্ষা উত্তম, করলাম প্রতিবাদ, হইলাম বহিষ্কার’ লেখা সংবলিত প্লেকার্ড গলায় ঝুলিয়ে এর প্রতিবাদ করেন।
রিটকারী আইনজীবী বলেন, ‘আমরা মানিকগঞ্জ বারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছি। রিটটি বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।’