এখন থেকে যতগুলো এলাকায় ভোট হবে, সবগুলোতেই সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে কেন্দ্রে ভোটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন, এই ক্যামেরা দুস্কৃতিকারীদের জন্য শত্রু হিসেবে কাজ করে। যারা ভালো, তাদের জন্য মিত্র হিসেবে কাজ করে।
সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে প্রতিটা নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব। স্থানীয় নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন, সবগুলোতে। অতীতে যেমন সুফল পেয়েছি, ভবিষ্যতেও পেতে চাই। আমরা এখানে পরীক্ষা দিতে আসি নাই। ভালো নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’
গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণ করা নির্বাচন কমিশন ভোটকে বিতর্কমুক্ত রাখতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তার মধ্যে একটি হলো কেন্দ্রে ক্যামেরা স্থাপন। কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের কাছেই এমন দাবি জানানো হয়েছিল বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে। তবে সেই দাবি অগ্রাহ্য করে কমিশন।
তবে গত ১৫ জুলাই থেকে বর্তমান কমিশন যেসব এলাকায় ভোটের আয়োজন করেছে, তার মধ্যে অনেকগুলোতেই কেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে ক্যামেরা স্থাপন করে। গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে ভোটের পরিস্থিতি ঢাকা থেকে পর্যবেক্ষণ করে ভোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আহসান হাবিব বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে কেমন ফল পেয়েছি তা সবাই জানেন। এটা কতটা স্বচ্ছতা এনেছে, কুমিল্লা সিটিতে সুফল পেয়েছি, জেলা পরিষদ নির্বাচনেও পেয়েছি। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনগুলোতেও ব্যবহার করব।’
যাদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে তারাই ক্যামেরার বিরোধী বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ মনে করে প্রাইভেসি নষ্ট করছে সিসি ক্যামেরা। বাসার সামনে, রাস্তা-ঘাটে; সব জায়গায় ক্যামরা বসানো। যারা দৃষ্কৃতিকারী, তাদের জন্য সিসি ক্যামেরা শত্রু হিসেবে কাজ করে। আর যারা ভালো তাদের মিত্র হিসেবে কাজ করে।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, ‘বন্ধঘোষিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে অনিয়মের তদন্ত করেছে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি। তারা কম্পাইল করছেন। অনেক বড় বিধায় তারা সময় (তিনদিন) চেয়েছে। কমিশন হয়তো সময় দেবে।’
নির্বাচন কমিশন কারও চাপে নেই দাবি করে আহসান হাবীব বলেন, ‘আমরা কখনও চাপের মধ্যে ছিলাম না। সত্যিকার অর্থেই স্বাধীনভাবে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি।’