চক্রের কেউ নিজেকে কাস্টমস কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত মেজর হিসেবে পরিচয় দিতেন। কেউবা নিজেকে পরিচয় দিতেন কেমিস্ট হিসেবে। এভাবে ভুয়া পরিচয়ে প্রতারণা করে ১১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে চক্রটি।
এই প্রতারক চক্রের হোতাসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাজধানীর বিমানবন্দর ও দক্ষিণখান এলাকা থেকে রোববার তাদের গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ওয়ারী) বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- বশার মোল্লা, শেখ সোহাগ হোসেন মিন্টু, দ্বীন মোহাম্মদ, জুয়েল শিকদার, মোজাম্মেল খান ওরফে আকাশ, শেখ আলী আকবর, জামাল ফারাজী, সোহেল শিকদার, বিল্লাল হোসেন ও শাহরিয়ার ইকবাল।
ভাটারা থানা ও বিমানবন্দর থানার দুইটি মামলা তদন্ত করার সময় এজাহারনামীয় আসামি ও প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে নকল চারটি সোনার বার, দুইটি সোনার বার তৈরির মেশিন, তামার তার, তার গলানোর কেমিক্যাল, হিউম্যান রাইটসের নকল আইডি কার্ড ও সিভিল এভিয়েশনের নকল আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।
সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি দক্ষিণ) সঞ্জিত কুমার রায়।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নকল সোনার বার, ম্যাগনেটিক পিলার ও কয়েন, কাস্টমসের মালামাল বিক্রির সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। গ্রেপ্তার বশার মোল্লা নিজেকে কাস্টমস ডাইরেক্টরের এপিএস হিসেবে পরিচয় দিয়ে কম দামে স্বর্ণের বার কিনে দেয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করতেন। গ্রেপ্তার সোহাগ নিজেকে কাস্টমস ডাইরেক্টর অ্যাডমিন হিসেবে ক্রেতার সঙ্গে দেখা করে বিশ্বস্ততা অর্জন করতেন।
গ্রেপ্তার দ্বীন মোহাম্মদ ও জুয়েল শিকদার নকল সোনার বার তৈরি করতেন। কথিত ড. মোজাম্মেল খান নিজেকে কেমিস্ট ও পরমাণু বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিতেন।
ডিবির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতারক চক্রের সদস্যরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে ১১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানা, দক্ষিণখান থানা, উত্তরা-পূর্ব থানা, কাশিমপুর থানা ও বাগেরহাটের ফকিরহাট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।