পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবিলায় সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
সোমবার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবিলায় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ পরিচালিত সব ধরনের যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী নৌযান বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মোবারক বলেন, ‘সব ধরনের উদ্ধারকারী নৌযানকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোনো উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।’
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে সন্ধ্যার দিকে। এতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে আছে বরগুনা ও পটুয়াখালী। এ সময় এর গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রোববার থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীসহ দেশজুড়ে। ঢাকার বৃষ্টি ভোগান্তি বাড়িয়েছে অফিসগামীদের। রাতভর বৃষ্টি হয়েছে, একটানা বৃষ্টি হবে সোমবারও।
দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ‘সিত্রাং সিভিয়ার সাইক্লোন হিসেবে রূপ নিয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলে আঘাত হানবে। কেন্দ্রে আঘাত করবে ভোরে। এটা পুরোপুরি বাংলাদেশ ভূখণ্ডে আঘাত হানবে। ভারতে আঘাত করার কোনো আশঙ্কা নেই।’
তিনি বলেন, ‘উপকূলীয় ১৩ জেলায় মারাত্মক ও দুই জেলায় হালকা আঘাত হানবে। তবে বরগুনার পাথরঘাটা ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
‘চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বেশি আঘাত হানবে। চট্টগ্রাম বিভাগের মহেশখালী ও সন্দ্বীপ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।’