বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘার

  •    
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২২ ১২:৩০

শরৎ ও হেমন্তের মেঘমুক্ত আকাশের কারণে প্রায় প্রতিদিনই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সুযোগ হয় পর্যটকদের। শরতের শেষ দিক থেকে শীত পর্যন্ত সবচেয়ে আকর্ষণীয় দৃশ্য কাঞ্চনজঙ্ঘা আর হিমালয়। প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে অপার্থিব মায়ার ঘোর সৃষ্টি করে।

দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের চূড়া। শীতের মেঘমুক্ত আকাশে তুষারশুভ্র পাহাড়ের চূড়া রোদে চিকচিক করে ওঠে আর ঠিক তখনই কাঞ্চনজঙ্ঘার মোহনীয় শোভা উপভোগ করা যায়।

বছরের এ সময় ভ্রমণপিপাসুদের জন্য তেঁতুলিয়া অন্য রকম এক আমেজ তৈরি করে। বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে থাকা হিমালয় পর্বতমালা কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ দর্শন করতে এই সময় পর্যটকরা আসতে শুরু করেন।

তেঁতুলিয়ার বুক চিড়ে প্রবাহিত মহানন্দা নদী বিভক্ত করেছে বাংলাদেশ ও ভারত ভূখণ্ডকে। তেঁতুলিয়ায় দাঁড়িয়ে সোজা উত্তরে তাকালে চোখে পড়বে সুনীল আকাশ আর হিমালয় এখানে দাঁড়িয়ে আছে পাশাপাশি।

হিমালয় পর্বতমালা থেকে ১৬৫ কিলোমিটার দূরে তেঁতুলিয়া উপজেলা থেকেই দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘার প্রধান শৃঙ্গ। শরৎ ও হেমন্তের মেঘমুক্ত আকাশের কারণে প্রায় প্রতিদিনই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সুযোগ হয় পর্যটকদের। শরতের শেষ দিক থেকে শীত পর্যন্ত সবচেয়ে আকর্ষণীয় দৃশ্য কাঞ্চনজঙ্ঘা আর হিমালয়। প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে অপার্থিব মায়ার ঘোর সৃষ্টি করে।

মহানন্দা নদীর পাড়ে গিয়ে দাঁড়ালে দেখা যায় সূর্যের বর্ণিল আলোকচ্ছ্বটায় উদ্ভাসিত এভারেস্ট শৃঙ্গ। তাই ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত ডাকবাংলো এবং মহানন্দা নদীর তীরে বসে প্রকৃতিপ্রেমীদের আড্ডা। সন্ধ্যা নামার আগে ভিন্ন রূপের মহানন্দা হৃদয় কাড়ে পর্যটকদের। বাংলার বুক চিড়ে যে সূর্য ওঠে ভোরে, সন্ধ্যায় আবার সেই সূর্য ডুব দেয় প্রতিবেশী দেশের কাঞ্চনজঙ্ঘার আড়ালে।

তবে সব সময় দেখা মেলে না কাঞ্চনজঙ্ঘার। মেঘ আর কুয়াশা মাঝে মাঝেই আড়াল করে রাখে তাকে। তখন অপেক্ষা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলাসহ জেলার যেকোনো প্রান্ত থেকে এ বছর দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এর সৌন্দর্য দেখতে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন পর্যটকরা।

দিনাজপুর থেকে আসা পর্যটক রাফিজ আল হাসান বলেন, ‘প্রকৃতি যেন তার সব কিছু উজাড় করে দিয়েছে পঞ্চগড়কে। হিমালয় আর নীল আকাশের মায়াবী মিলন দেখার জন্য প্রতি বছর তেঁতুলিয়ায় ছুটে আসেন অসংখ্য পর্যটক। এ জেলার সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য হৃদয়কে সমৃদ্ধ করে।’

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘ট্যুরিস্টদের আনন্দকে আমরাও উপভোগ করছি। তাদের নিরাপত্তা, থাকা-খাওয়ার বিষয়গুলোকে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মনিটর করা হচ্ছে। এ ছাড়া তেঁতুলিয়া ডাকবাংলোসহ পর্যটন স্থানগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা হচ্ছে।’

পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা জানান, ট্যুরিস্ট পুলিশের মাধ্যমে পর্যটকদের নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে।

পৃথিবীতে উচ্চতার দিক থেকে প্রথম তিনটি পর্বতই হিমালয় পর্বতমালায় অবস্থিত। প্রথম অবস্থানে রয়েছে মাউন্ট এভারেস্ট। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এভারেস্ট শৃঙ্গের উচ্চতা ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার বা ২৯ হাজার ২৯ ফুট। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পর্বত কে-টুর উচ্চতা ৮ হাজার ৬১১ মিটার বা ২৮ হাজার ২৫১ ফুট। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘার উচ্চতা ৮ হাজার ৫৮৬ মিটার বা ২৮ হাজার ১৬৯ ফুট।

কাঞ্চনজঙ্ঘার পাঁচটি চূড়ার মধ্যে তিনটি চূড়া পড়েছে উত্তর সিকিমে আর দুটি চূড়া পড়েছে নেপালের মেচি জোনের তাপলেজাং জেলায়।

কাঞ্চনজঙ্ঘার সুউচ্চ চূড়া কাছ থেকে দেখা যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার টাইগার হিল থেকে। যেখানকার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ৫৭৩ মিটার বা ৮ হাজার ৪৪১ দশমিক ৬০১ ফুট। এই উচ্চতা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব সোজা পূর্বে ৭৯.৮ কিলোমিটার।

এ বিভাগের আরো খবর