ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশাল ও ভোলায় সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক এবং ভোলা নদীবন্দর কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম সোমবার সকালে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘সিত্রাংয়ের প্রভাবে সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা হাওয়াও রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সব রুটের লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক মাজহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৫ থেকে ৮ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার ভোর রাতে বরিশাল অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি পায়রা বন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে আছে। নদীবন্দরে ৩ ও সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর সংকেত রয়েছে।
‘বরিশালে বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ২০ নটিক্যাল মাইল থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ে বঙ্গোপসাগরে বাতাসের গতিবেগ ৭০ নটিক্যাল মাইল। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতিবেগও বাড়তে থাকবে।’
ভোলায় রোববার রাত ৯টার দিকে প্রথমে শুধু অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সোমবার সকাল থেকে বন্ধ করা হয় দূর পাল্লার রুটেও। এর মধ্যে ভোলা-ঢাকা, ভোলা-লক্ষ্মীপুর, ভোলা-আলেকজেন্ডার ও ভোলা-পটুয়াখালী রুট রয়েছে।
ভোলা নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে।’
জেলা প্রশাসক তৌফিক ইলাহী চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৪ হাজার সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। ৭০টি ইউনিয়ন ও সাতটি উপজেলায় একটি করে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।’