বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোরে ১০০ কিলোমিটার বেগে বরিশাল-চট্টগ্রাম পার হবে সিত্রাং

  •    
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২২ ১১:১৪

মঙ্গলবার ভোরে এই ঘূর্ণিঝড় বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল পার হতে পারে, এ সময় এর গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের দিকে আরও এগিয়ে এসেছে। মঙ্গলবার ভোরে এই ঘূর্ণিঝড় বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল পার হতে পারে। এ সময় এর গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।

ঢাকা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান সোমবার সকালে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এটা এখনো ঘূর্ণিঝড় অবস্থায়ই আছে। আমাদের হাতে এখনো ২০ ঘণ্টা থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় আছে। উপকূল অতিক্রম করার সময় সিত্রাংয়ের গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন আমরা ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলেছি। একই সঙ্গে নৌ বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিত্রাং আরও ঘণীভূত ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোররাত বা সকালে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রোববার থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীসহ দেশজুড়ে। ঢাকার বৃষ্টি ভোগান্তি বাড়িয়েছে অফিসগামীদের। রাতভর বৃষ্টি হয়েছে, একটানা বৃষ্টি হবে সোমবারও।

অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, সকাল ৬টায় সিত্রাং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। রোববার মধ্যরাতে এর অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, যা সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছিল ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।

সকালে এই ঘূর্ণিঝড় ছিল কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মধ্যরাতে ছিল ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, যে দূরত্ব সন্ধ্যায় ছিল ৭১০ কিলোমিটার। সিত্রাং সর্বশেষ মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। মধ্যরাতে ছিল ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, এই দূরত্ব সন্ধ্যায় ছিল ৭০০ কিলোমিটার।

পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকেও দূরত্ব কমেছে। সকাল ৬টায় ছিল ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে। এর দূরত্ব রোববার সন্ধ্যায় ৬৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে থাকলেও মধ্যরাতে ছিল ৬০০ কিলোমিটার দূরে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝােড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর রয়েছে উত্তাল।

অধিদপ্তর বলছে, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ৭ নম্বর বিপদসংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ৬ নম্বর বিপদসংকেতের আওতায় থাকবে।

সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদীবন্দরে ৩ নম্বর নৌ বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝােড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে, সেই সঙ্গে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৮ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

সিত্রাংয়ের প্রভাব ইতোমধ্যে উপকূলসহ রাজধানীতে পড়েছে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, হালকা বৃষ্টি হচ্ছে, এটা আরও বাড়বে। সোমবার রাতটা মূলত ক্রুশিয়াল হবে।

এ বিভাগের আরো খবর