বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ভোলায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। রোববার সকাল থেকেই জেলা জুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রোববার দুপুরে ভোলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতি সভা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে যেন বড় ধরনের কোনো ক্ষতি না হয় সে জন্য ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে মিটিং করে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
৭৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার, আশ্রয়কেন্দ্র, পর্যাপ্ত ত্রাণসহ ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। খোলা হয়েছে আটটি কন্ট্রোল রুম।
উপকূলীয় এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী জাহাজ। নিরাপদে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের।
১৩ হাজার ৬০০ জন (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন। জেলার ৭০টি ইউনিয়ন ও সাতটি উপজেলায় একটি করে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান। মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে এবং সব ধরনের নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদে অবস্থান করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তা।