বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আসল খেলা হবে ডিসেম্বরে: ওবায়দুল কাদের

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:৫০

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খেলা হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে, ভোট জালিয়াতি ও ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে। দুর্নীতি, লুটপাট, নারী নির্যাতন, গুম-খুনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। বিএনপির গুণ্ডা দিয়ে বেলা ১১টার আগেই ভোট শেষ করার বিরুদ্ধে খেলা হবে। তাদেরকে মোকাবিলা করা হবে।’

আগামী ডিসেম্বরে আসল খেলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খেলা হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে, ভোট জালিয়াতি ও ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে। দুর্নীতি, লুটপাট, নারী নির্যাতন, গুম-খুনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। বিএনপির গুণ্ডা দিয়ে বেলা ১১টার আগেই ভোট শেষ করার বিরুদ্ধে খেলা হবে। তাদেরকে মোকাবিলা করা হবে।’

বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়কের কথা ভুলে যান। উচ্চ আদালত বাদ দিয়েছে। বিশ্বের কোথা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, আমাদের ‌এখানেও সেভাবে সাংবিধানিকভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা শেখ হাসিনা। ফখরুল সাহেবদের বিএনপির নেতা কে? কাপুরুষের মতো আর রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছে। কে সে? হাওয়া বদলের সেই যুবরাজ। খেলা হবে হাওয়া বদলের বিরুদ্ধে, সেই লুটপাটের বিরুদ্ধে।’

আওয়ামী লীগের এই দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার চেয়ে যোগ্য, সৎ ও ভালো মানুষ আর নেই। বাংলাদেশের মানুষ এবারও শেখ হাসিনাকে চায়। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনাকেই বাংলার মানুষ নির্বাচিত করবে। এ দেশের জনগণ চেহারা দেখে ভোট দেয় না। বাংলার জনগণ কাজ ও উন্নয়ন দেখে ভোট দেয়।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, এতদিন আমি সব সভা করেছি ভার্চুয়াল মাধ্যমে। আজই প্রথম আমি সশরীরে সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছি। আমার উপস্থিতি সফল হয়েছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতা শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভীকে এক মঞ্চে পেয়ে। সামনে কঠিন দিন আসছে। আর এরাই নারায়ণগঞ্জের শক্তি।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কমিটি ঘিরে পদ-বাণিজ্যের কথা যেন না শুনি। ডেকে ডেকে পকেটের লোক বসাবেন তাও চলবে না। এবার তদন্ত করে খোঁজ-খবর নেব। পয়সা খেয়ে কমিটি করা লোকদের আমাদের প্রয়োজন নেই।

‘ভালো হয়ে যান, নিজেদের সংশোধন করুন। কমিটি একটা হবে। নতুন নেতা আসতে দিন। বসন্তের কোকিল আছে, দুঃসময়ের লোক নেই৷ কিছু মানুষ টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। আর কত টাকা দরকার? মানুষ সব লক্ষ্য করে। কে কী করে তা শেখ হাসিনাও জানেন।’

সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সমাবেশ প্রমাণ করে অতীতেও আওয়ামী লীগ সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল। বিএনপিকে নিয়ে তিনি বলে- তারা বিদ্যুৎ দিতে পারেনি; কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি। তাদের সময়ে দেশের অর্থনীতি চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছিল। জঙ্গি-সন্ত্রাস, ছাত্রদল-যুবদলের সন্ত্রাসে সারা দেশ ছিল প্রকম্পিত।’

তিনি বলেন, বিএনপি যে সমাবেশ করেছে এমন সমাবেশ আমরা প্রতিদিন করতে পারি। সমাবেশ দিয়ে কিছু প্রমাণ করা যাবে না। একটি-দুটি সমাবেশ করে হুমকি দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না।

‘আওয়ামী লীগের ভিত্তি হলো জনগণ। পারলে নির্বাচনে আসেন। আপনাদের পায়ের নিচে মাটি নেই।’

সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দোস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সিটি করপোরেশনের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও কার্যকরী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার।

সবশেষে আবদুল হাইকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদলকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর