বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার মামলায় সুমন মুন্সী নামে এক আসামিকে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমেদ হিরো। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম নুরুল ইসলাম শামীম।
মামলা থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন ডিঙামানিক এলাকার আনিস হাওলাদারের মেয়ে সাথীর সঙ্গে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আবুল মুন্সীর ছেলে সুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ১৫ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য সাথীর ওপর নির্যাতন চালাতেন সুমন ও তার স্বজনরা। ২০১৫ সালের ২০ জুন সন্ধ্যায় সাথী তার বাবার বাড়িতে ফোন দিয়ে নির্যাতন চালানোর বিষয়টি বলে দেন। এর জের ধরে সাথীকে পিটিয়ে হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন সুমন ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এ ঘটনায় ২১ জুন সাথীর বাবা মেহেন্দীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মেহেন্দীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তদন্ত শেষে একই বছরের ২৭ নভেম্বর সুমন মুন্সীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন।
বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ আবু তাহের স্ত্রী হত্যার দায়ে সুমন মুন্সীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন। সেই আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট এ রায় দেয়।