বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এডিস লার্ভা পেয়ে ৭ লাখ টাকা জরিমানা

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:৫২

রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় ডিএনসিসি ১০টি অঞ্চলে একযোগে এডিসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। বিশেষ এ অভিযান চলাকালে রোববার এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৮টি মামলা হয়। এতে ৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ডিএনসিসি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান চালাচ্ছে। রোববার পঞ্চম দিনে এডিসের লার্ভা পেয়ে ৮টি মামলায় প্রায় ৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে।

ডিএনসিসি জানায়, ১০টি অঞ্চলে একযোগে অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।

বিশেষ এ অভিযান চলাকালে রোববার এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৮টি মামলা হয়। এতে ৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ডিএনসিসি।

এছাড়াও রাস্তা ও ফুটপাতে মালামাল রেখে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ৫টি মামলায় ২১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এডিস বিরোধী অভিযানে ডিএনসিসির কর্মীরা। ছবি: নিউজবাংলা

ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডস্থ মনসুরাবাদ হাউজিং এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

অভিযানে তিনটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পেয়ে ৩টি মামলায় ৬ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়।

এছাড়া অঞ্চল-১ এর আওতাধীন খিলক্ষেত এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে এডিস মশার লার্ভা পেয়ে ৩টি মামলায় ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ফুটপাতে নির্মাণসামগ্রী রেখে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১টি নিয়মিত মামলাও হয়েছে।

ডিএনসিসির অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন পূর্ব কাফরুল এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে ৮০টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়। ফুটপাত ও রাস্তায় মালামাল রাখায় সেখানে ৪ মামলায় ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একটি বাড়িতে এডিস লার্ভা পেয়ে নিয়মিত মামলা করা হয়।

অঞ্চল-২ এর আওতাধীন মিরপুর মডেল থানা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে সেখানে লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন সাতারকুল এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ১টি নিয়মিত মামলা করা হয়।

ডিএনসিসির সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এলাকাগুলো ঘুরে লিফলেট বিতরণ করেন। ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।

এ বিভাগের আরো খবর