বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতোই বিচার হবে কাদের-হাছানদের: রিজভী

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:০৩

‘ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ ও আসাদুজ্জামান খান কামালরা ফ্যাসিবাদের নিঃস্বার্থ নিবেদিত উপাসক। এরা অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, হিংসা ও হত্যায় উদ্বুদ্ধ আওয়ামী নাৎসিবাদের সৈনিক। নুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতোই এদেরও একদিন বিচার হবে।’

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে নাৎসি যুদ্ধাপরাধীদের যেভাবে বিচার করা হয়েছিল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদদেরও সেভাবেই বিচার করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।

রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘কুৎসা, মিথ্যা ও বেপরোয়া মিথ্যাচারের ন্যক্কারজনক প্রচার চালাতে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা এখন প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ ও আসাদুজ্জামান খান কামালরা ফ্যাসিবাদের নিঃস্বার্থ নিবেদিত উপাসক। এরা অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, হিংসা ও হত্যায় উদ্বুদ্ধ আওয়ামী নাৎসিবাদের সৈনিক। নুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতোই এদেরও একদিন বিচার হবে।’

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছিল নুরেমবার্গ ট্রায়াল গঠন করে।

রিজভী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাকি খুলনায় বাস কেন বন্ধ তা জানেন না। তাহলে তিনি শুধু ব্যর্থই নন, অপদার্থও বটে। তিনি নিশ্চয়ই জানেন, বাস কে বন্ধ করেছে।

‘হাসিনার বরকন্দাজ হয়ে তিনি যে বাস বন্ধের কাজটি করেছেন, সেটি আসাদুজ্জামান খান কামাল না জানলেও দেশবাসী জানে। তাদের নোংরা চাতুরী ও দুর্বৃত্তপনার বিরুদ্ধে জনগণের অভ্যুত্থান থামানো যাবে না।’

বিএনপি লাশ চায় বলে আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য রেখেছেন, তার জবাবে রিজভী বলেন, ‘তাহলে ভোলা, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে এতগুলো লাশ পড়ল, এটি কার দ্বারা সৃষ্ট?

‘আসলে ওবায়দুল কাদের সাহেবের ভীমরতি ধরেছে। তাদের রক্তমাখা হাত লুকোতে না পেরে হাস্যকর উদ্ভট কথা বলছেন অনর্গল। কারণ, তারা জানেন, তারা টিকে থাকলে ভোট-নির্বাচনের দরকার হয় না।’

‘খুলনার গণসমাবেশ ছিল অনবদ্য’

খুলনার সমাবেশ নিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ‘গতকাল খুলনার গণসমাবেশ ছিল এক অনবদ্য, স্বতঃস্ফূর্ত বিশাল জনসমাগম। জনসমাবেশকে বানচাল করতে সরকারি সকল উদ্যোগ ব্যর্থ করে দিয়ে রাত জেগে খুলনা মহানগরীর রাস্তাঘাট, ফুটপাত ও সমাবেশস্থলে শুয়ে-বসে অবস্থান নেয় হাজার হাজার জনতা।

‘বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট, ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার শিকার হয়েও মানুষের স্রোতকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে শাসকগোষ্ঠী। সরকারি ধর্মঘটে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলেও খুলনা মহানগরীর জমায়েত ঠেকাতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘গণসমাবেশের পরে জনগণ ও বিএনপি নেতা-কর্মীরা বাড়িতে ফেরার পথেও আওয়ামী দুষ্কৃতকারীদের হামলার মুখে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে। খুলনায় বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে, যানবাহন ট্রলারে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নজিরবিহীন সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়েছে। তারা চেষ্টা করেছে জনগণের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে। শুধু পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের যৌথ আক্রমণই নয়, তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।’

আওয়ামী শাসনে গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ হয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘তখন শুরু হয় মহাপ্রতাপশালী আওয়ামী দুঃশাসন। এরা কোনো দিনই বিরোধী দলকে বরদাশত করেনি। কারণ, তারা জনগণকে ভয় পায়।

‘মূলত আওয়ামী লীগ ভয় পেয়ে গেছে। এ কারণেই বিএনপির সমাবেশকে পণ্ড করার জন্য দুর্বৃত্তদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে তারা। যে সরকার বিরোধী মতের ওপর কঠোর অবস্থান এবং গুম ও ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সেই সরকার কখনোই বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকেও মেনে নিতে পারে না।’

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টুও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর