জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে না দিয়ে নিজেদের অধীনে রাখার জন্য ফের স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। এটি নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে সরিয়ে নেয়া হলে নির্বাচনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন ইসি কর্মকর্তারা।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে এমন দাবি জানিয়ে স্মারকললিপি জমা দেয় অ্যাসোসিয়েশন।
বিদায়ী কমিশন কে এম নূরুল হুদার কাছেও এ-সংক্রান্ত স্মারকললিপি জমা দিয়েছিলেন কর্মকর্তারা। পরে বর্তমান কমিশন কাজী হাবিবুল আউয়ালকে এর আগে এক দফা স্মারকলিপি দেন তারা।
এনআইডির জন্য নতুন আইন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান, এটি পাস হলেই এনআইডি নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে যাবে। আর জন্মের পরপরই নাগরিককে এনআইডি দেয়া হবে।
স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হাসানুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সিইসিকে এনআইডির বিষয়ে যুক্তিযুক্ত স্মারকলিপি দিয়েছি। কমিশন এ নিয়ে আলোচনা করেছেন আমাদের সঙ্গে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সভায় সাবেক সিইসি ও সচিবরা সকলেই একবাক্যে বলেছিলেন, এনআইডি ইসির অধীনে রাখা যুক্তিযুক্ত। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। তারা আশ্বস্ত করেছেন, কমিশন সভা করে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এনআইডি অন্যত্র চলে গেলে নির্বাচনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। আমরা ইভিএমের মাধ্যমে যে নির্বাচন করতে চাচ্ছি, সেখানে সরাসরি এনআইডি ব্যবহার হয়। আমাদের ডেটাবেজ অন্য কোথাও থেকে এলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।’
সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ নিয়ে নিলে আলাদা ভোটার কার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এনআইডির কর্তৃত্ব চলে গেলেও নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় কোনো ক্ষতি হবে না বলে মনে করছে ইসি। কারণ, এনআইডির ভিত্তিতে আমরা নির্বাচন করি না। আমরা নির্বাচন করি ভোটার তালিকার ভিত্তিতে। তবে ভোটার সার্ভার দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।’