বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দিক বদলালে ঝড়ের আঘাত বাংলাদেশে

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৫:৪১

দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে 'সিত্রাং'। এটির এখন যে গতিপথ সেটি পরিবর্তন না হলে ভারতের ভুবনেশ্বর ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানবে। আর গতিপথ পরিবর্তন হলে এটি উপকূলের ১৯ জেলার ৭৩০ কিলোমিটার এলাকায় আঘাত করবে।

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রোববার সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বর্তমান গতিপথ অপরিবর্তিত থাকলে এটি ভারতের ভুবনেশ্বর ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানবে। তবে গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে বাংলাদেশ উপকূলেও আঘাত হানতে পারে ঝড়টি।

সচিবালয়ে রোববার ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতিবিষয়ক জরুরি সভায় এ কথা জানান দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‌'সিত্রাং'। এটির এখন যে গতিপথ সেটি পরিবর্তন না হলে ভারতের ভুবনেশ্বর ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানবে।

আর গতিপথ পরিবর্তন হলে এটি উপকূলের ১৯ জেলার ৭৩০ কিলোমিটার এলাকায় আঘাত করবে। ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৩ বছরে যেসব ঘূর্ণিঝড় হয়েছে তার মধ্যে এর কভারেজ এলাকা সবচেয়ে বেশি। এটি মোকাবিলায় আমাদের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

‘২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার মধ্যে এটির আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।’

ঝড়ের কারণে উপকূলীয় এলাকায় ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

সাগরে নিম্নচাপের কারণে দেশের বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি রোববার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। এর নিকটবর্তী এলাকায় উত্তাল রয়েছে সাগর।

গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর