বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২০৩০ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের ৬ লাইন

  •    
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৪:৪১

‘আমাদের পরবর্তী লক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট পরিবহন। সেজন্য পরিবহন আধুনিক করতে হবে। পৃথিবী এগিয়ে চলছে, আমরা পিছিয়ে থাকতে পারি না। জাপান আমাদের উন্নয়নের অংশীদার। আমরা আজকের বাংলাদেশকে উত্তরোত্তর পরিবহন খাতে, যোগাযোগ খাতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি।’

আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হবে বলে আবার জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই ছয়টি লাইনই দৃশ্যমান হবে।

রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেট্রোরেল-১ (এমআরটি লাইন-১) এর নির্মাণকাজ তদারকির জন্য ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান জাপানের নিপ্পন কয়ই জেভির মধ্যে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত-কুড়িল ও যমুনা ফিউচার পার্ক হয়ে বাড্ডা-রামপুরা-মালিবাগ হয়ে রাজারবাগ-কমলাপুর এবং কুড়িল থেকে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাশ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে এই লাইন।

৩১.২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপান সরকার দেবে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা, বাকি ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা আসবে সরকারি তহবিল থেকে।

প্রকল্পে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ২১ কিলোমিটার হবে পাতাল পথে এবং কুড়িল থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। নতুন বাজার থেকে কুড়িল পর্যন্ত ৩ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রানজিশন লাইনসহ ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এই মেট্রোরেলের ১২টি স্টেশন থাকবে মাটির নিচে এবং ৭টি থাকবে উড়াল সেতুর ওপর।

২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর প্রকল্পটি অনুমোদন করে সরকার। ২০২৬ সালে এটি চালুর প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নির্মাণকাজ দৃশ্যমান হয়নি।

মন্ত্রী কথা বলেন উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলা এমআরটি লাইন-৬ নিয়ে। তিনি বলেন, ‘চলতি ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

কাদের বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী লক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট পরিবহন। সেজন্য পরিবহন আধুনিক করতে হবে। পৃথিবী এগিয়ে চলছে, আমরা পিছিয়ে থাকতে পারি না। জাপান আমাদের উন্নয়নের অংশীদার। আমরা আজকের বাংলাদেশকে উত্তরোত্তর পরিবহন খাতে, যোগাযোগ খাতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি।’

যোগাযোগ খাতে উন্নয়নের জাইকার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘এই ফান্ডিং আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে চলার একটি গোল্ডেন অপরচুনিটি খুলে দিয়েছে। সেজন্য জাইকাকে ধন্যবাদ জানাই।’

অনুষ্ঠানে ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ‘সাতজন জাপানি নাগরিক হোলি আর্টিসান হামলায় নিহত হয়েছেন, আমরা এমন ট্র্যাজেডি দুঃখের সঙ্গে স্মরণ করি। তারপরেও আমরা উন্নয়ন কর্মসূচিতে একসঙ্গে কাজ করছি।

‘আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রীর সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার করবে বলে মনে করি। আশা করি জাপান-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরেও উন্নতি হবে।’

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, ‘মেট্রোরেল আমাদের স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে যাক।’

মেট্রোরেল বাস্তবায়ন ও তদারকি সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক, বাংলাদেশে জাইকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি টমোহাইড ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থানী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নানও এ সময় বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর