বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারায়ণগঞ্জে দুই যুগ পর জেলা আ.লীগের সম্মেলন, নেতৃত্বে কে

  •    
  • ২২ অক্টোবর, ২০২২ ২২:৫৩

শামীম ওসমান বলেন, ‘সম্মেলনকে ঘিরে অনেক বলছেন শামীম ওসমান প্রার্থী। ম্যাসেজ ক্লিয়ার, আমি কোনো প্রার্থী না। আমি শেখ হাসিনার সৈনিক। দলের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের জানাব।’

দুই যুগের বেশি সময় পর রোববার বিকেলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবাষির্ক সম্মেলন। জেলার ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতাদের মধ্য থেকে কমিটির নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আসতে পারে বলে মনে করেন তৃণমূল।

নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি ছাড়াও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ও শিক্ষমন্ত্রী দিপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা অজমসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের থাকার কথা রয়েছে।

সম্মেলন উপলক্ষে মূল সড়কে পোস্টার ব্যানারে ছেয়ে গেছে। মঞ্চসহ সম্মেলনের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আব্দুল হাই নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাউন্সিলরা যাকে নির্বাচিত করবেন তিনি আসেবন। যিনি নিজের উন্নয়ণ নয়, দলের নেতাকর্মীদের জন্য কাজ করেছেন তিনিই পাবেন দায়িত্ব।’

আব্দুল হাই বলেন, ‘সভাপতি পদে শামীম ওসমানের নাম আগে থেকেই ফেসবুকে প্রচারণা করা হয়েছে। তা ছাড়া জেলার অনেক প্রবীণ নেতারাও আছেন এখানে। তবে যারা ত্যাগী ও পরীক্ষিত তাদেরই কমিটিতে আসা উচিত।’

জেলা আওয়মী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘জেলার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী দলের পরীক্ষিত নেতা। দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি চান তাহলে আইভীও আসতে পারেন সভাপতি পদে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দলের ভেতরে কোনো কাউয়া, হাইব্রিড ও সন্ত্রসী চাই না। আমরা এমন নেতা চাই, যিনি হবেন তৃণমূলের। যিনি দলের কঠিন সময়ে পালিয়ে যাবেন না।’

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, জেলায় নেতাদের মধ্যে মত পার্থক্য অনেক আগে থেকেই। সব নেতারাই চান তাদের নেতা যেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পান। এখানে এক দলে আলাদা নেতৃত্বে প্রকাশ পেয়েছ বহুবার।

জেলার প্রবীণ নেতা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু আছেন এক সারিতে।

তবে তাদের উল্টো দিকে মত প্রকাশ করে থাকেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। ফলে কে আগামী সভাপতি হবেন তা নিয়ে দলের ভেতরে মতভেদ অনেক আগে থেকেই আছে বলে বলছেন স্থানীয় নেতারা।

এই দুই ‘পন্থি’ ছাড়াও অনেক নেতা আছেন জেলায়। তাদের মধ্য থেকেও নতুন কমিটির নেতৃত্ব আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

তবে যিনিই আসুক তার নেতৃত্বে দল আগামীতে আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

শামীম ওসমান জানিয়েছেন তিনি প্রার্থী হবেন না। তিনি চান তৃণমূলের কেউ আসুক। যদি দলের সভানেত্রী চায় তাহলে তিনি থাকবেন যে কোনো পদে।

শামীম ওসমান বলেন, ‘সম্মেলনকে ঘিরে অনেক বলছেন শামীম ওসমান প্রার্থী। ম্যাসেজ ক্লিয়ার, আমি কোনো প্রার্থী না। আমি শেখ হাসিনার সৈনিক। দলের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের জানাব।’

তবে সম্মেলন নিয়ে এখানো কথা বলেনি জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী।

বিষয়টি নিয়ে জানতে তার মুঠোফোনে দুদিন যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

প্রবীণ আওয়মী লীগের নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলনে নাজমা রহমান সভাপতি ও শামীম ওসমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সম্মেলনের পর ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে শামীম ওসমান দেশ ছেড়ে চলে যান। পরে এস এম আকরামকে আহ্বায়ক ও মফিজুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মফিজুল ইসলাম মারা গেলে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর আবদুল হাইকে সভাপতি, সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও আবুল হাসনাতকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। ওই কমিটি এখনো দায়িত্বে রয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষে আগামী ২৫ অক্টোরর অনুষ্ঠিত হবে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সম্মেলন।

এ বিভাগের আরো খবর