গাজীপুরের রাস্তা থেকে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে জঙ্গলের একটি ঘরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় কিশোরীর ছোট ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে অপরাধীরা। এ ঘটনায় স্থানীয়রা দুজনকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে।
শুক্রবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ সালনা বাতানিয়াটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্বজনরা জানান, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী স্থানীয় কারখানার পোশাক শ্রমিক। নতুন কাজের বিষয়ে কথা বলতে শুক্রবার সকালে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে কিশোরী টেকনগপাড়া থেকে পাশেই এক বান্ধবীর বাসায় যায়। সেখান থেকে বেলা ১২টার দিকে বাসায় ফেরার সময় তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় অপরাধীরা।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তানভীর আহমেদ বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরে ৪/৫ জন যুবক অস্ত্র দেখিয়ে টেকনগপাড়ার রাস্তা থেকে এক কিশোরী ও তার ছোট ভাইকে তুলে নিয়ে জঙ্গলের দিকে গেছে বলে জানতে পারি। পাশের দক্ষিণ সালনা বাতানিয়াটেক এলাকার জঙ্গলে নিয়ে তারা কিশোরীর ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। আর কিশোরীকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে যুবকরা।
‘কিশোরী এক পর্যায়ে পালিয়ে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। অন্যদিকে যুবকরা পালিয়ে যাওয়ার সময় জসিম ও মনির নামে দুইজনকে ধরে ফেলেন এলাকাবাসী। নাসিম ও জাহেদুল নামের দুজন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক দুই যুবককে থানায় নিয়ে গেছে।’
অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। জসিম ও মনিরকে সে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার জসিম উদ্দিনের বাড়ি গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন মাড়িয়ালী এলাকায়। আরেক যুবক মনির হোসন বারবৈকা এলাকার তোফায়েল আহমেদের ছেলে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দুই যুবকের দেয়া তথ্যে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীর ছোট ভাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপরধীদের ব্যবহার করা চাপাতি ও হাতুড়ি জব্দ করা হয়েছে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণে জড়িতদের বিরুদ্ধে ছিনতাই ও মাদকের অভিযোগ রয়েছে। পালিয়ে যাওয়া তিন যুবককে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’