বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যমুনার বুকে দৃশ্যমান রেলসেতু

  •    
  • ২২ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:১৮

১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম এবং গত ১৬ অক্টোবর দ্বিতীয় স্প্যানটি বসানো হয়। এ দুটি স্প্যানের মধ্যে সুপার স্ট্রাকচার ইরেকশনও শেষ হয়েছে।

যমুনা নদীতে সড়ক সেতুর পাশে রেল চলাচলের জন্য আলাদা যে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে, তাতে দুটি স্প্যানের মধ্যে সুপার স্ট্রাকচার তোলার মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু রেলসেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, সেতুর ৫০টি পিলারের মধ্যে ১০টির কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ৪৭ ও ৪৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম এবং ৪৫ ও ৪৬ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে দ্বিতীয় স্প্যানটি। দ্রুত সময়রে মধ্যে আরও কয়েকটি স্প্যান বসানো হবে।

রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান জানান, ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম এবং গত ১৬ অক্টোবর দ্বিতীয় স্প্যানটি বসানো হয়। এ দুটি স্প্যানের মধ্যে সুপার স্ট্রাকচার ইরেকশনও শেষ হয়েছে।

২০২৪ সালের আগস্টের মধ্যে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সেই লক্ষ্য পূরণ হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৪৬ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি আমরা প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যেই সকল কাজ শেষ করতে পারব।’

তিনি জানান, ৫০টি পিলারের মধ্যে ১০টির কাজ এর মধ্যেই শেষ হয়েছে। বাকিগুলোও বসে যাবে দ্রুত।

নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে এই সেতুতে আলাদাভাবে রং করার প্রয়োজন হবে না। এই প্রক্রিয়াটি বেশ টেকসই। বলা হচ্ছে, আগামী ১০০ বছরেও সেতুর কাঠামোয় মরিচা ধরবে না। এমনকি আবহাওয়া বদলের সঙ্গে সঙ্গে গার্ডারের রংও বদলে যাবে নিজে থেকেই।

এই সেতু চালু হলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরে আরও বেশি ট্রেন চালানো যাবে। রেলসেতু প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলন, ‘আমরা এখন কেবল ৩৮টি ট্রেন চালাতে পারতাম। এই রেলসেতু চালু হওয়ার পর ৮৮টি ট্রেন চালাতে পারব। আগে একটি ট্রেন এক পাশে থামিয়ে অন্যটি চালাতে হতো। ডবল লাইনের সেতু হলে সেটি আর করতে হবে না।’

এই সেতুর মাধ্যমে উত্তরবঙ্গরে নতুন দ্বার উন্মোচন হবে উল্লখে করে সিরাজগঞ্জের সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, ‘ট্রেনে পরিবহন যেহেতু অনকে সহজ ও তুলনামূলক সাশ্রয়ী, তাই এতে উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীরা সুবিধা ভোগ করতে পারবে।’

ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জে ইকোনোমিক জোন, শিল্পপার্কসহ নানা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। তাঁত শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও উপকৃত হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা।

জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জাইকা।

১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপন হয়। তবে ২০০৮ সালে এই সেতুতে ফাটল দেখা দেয়ায় কমিয়ে দেয়া হয় ট্রেনের গতিসীমা।

বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার হওয়ায় সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি ঘটছে সিডিউল বিপর্যয়, বাড়ছে যাত্রী ভোগান্তি। এসব সমস্যা সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা একটি রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

এ বিভাগের আরো খবর