জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির সমালোচনা করেছেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পাথওয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহিন।
তিনি বলেন, ‘বিআরটিএ অনুমোদিত নির্দিষ্ট প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষণ ছাড়াই নামমাত্র লার্নার লাইসেন্স ও ভুয়া সনদ দেখিয়ে লাখ লাখ অদক্ষ চালক, ১০ মিনিটের জিগজ্যাগ পরীক্ষা ১ মিনিটে শেষ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। তারা সবাই পেশাদার-অপেশাদার পরীক্ষার্থী। ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার এমন উদাসীনতাকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া ঠিক নয়।’
শনিবার দুপুরে ‘আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি’ প্রতিপাদ্যে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
শোভাযাত্রা মিরপুরে পাথওয়ের প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে মিরপুর-১০ থেকে ১৪ নম্বরের প্রধান সড়কের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। সে সময় তাদের হাতে নিরাপদ সড়ক দিবসের বিভিন্ন স্লোগান-সংবলিত প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন ও ব্যানার দেখা যায়।
শোভাযাত্রা শেষে দিবসটির তাৎপর্য সম্পর্কে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. শাহিন বলেন, এখন সড়ক যেন, মৃত্যুফাঁদ। আতঙ্ক নিয়ে সড়কে নামতে হয়, পরিবার কিংবা আপনজনদের কাছে ফিরে যেতে পারব কিনা শঙ্কা জাগে। এমন দুঃস্বপ্ন বহুদিন-বহুকাল ধরে তাড়া করছে।
তিনি বলেন, প্রতিবছরই ঢাকঢোল পিটিয়ে নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন করা হয়, অথচ সড়কে প্রতিদিন শত শত লোকের প্রাণহানি ঘটছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে পরিবার ও রাষ্ট্রের বোঝা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে যুগের পর যুগ পার করে দিচ্ছে।
দেশে কেবল একটি ভেহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টার সচল বাকি সব কটি অচল দাবি করে শাহিন বলেন, এখানেও বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের বড় রকমের উদাসীনতা রয়েছে। শুধু একটি ভেহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টার দেখিয়ে সারা দেশের গাড়ির ফিটনেস দেয়া হচ্ছে।
ডোপ টেস্ট এখন সব ধরনের গাড়িচালকের জন্যই অতি জরুরি উল্লেখ তিনি জানান, শুধু পেশাদার চালক নয়, ডোপ টেস্ট প্রয়োজন পেশাদার-অপেশাদার উভয়ের। কেননা, সড়ক ব্যবহারে উভয়েই সমান এবং সড়ক দুর্ঘটনা উভয় পেশার চালকের মাধ্যমেই ঘটছে। তাই এখানে কোনো একটিকে ছোট করে দেখলে হবে না। চালকের আসনে যেই বসেন না কেন, নিয়ম মেনে গাড়ি চালাতে হবে সবাইকে।