সংবাদমাধ্যমে নবম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন ও সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করাসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এ সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা-মামলা বন্ধ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন ও পেশাদার সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদও জানানো হয়।
সমাবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় বেতনকাঠামো নিয়ে সমস্যা, তার ওপর মালিক পক্ষের অসহযোগিতা। এই অবস্থায় আমরা রাজপথে নেমে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘বলা হচ্ছে মামলার জন্য নবম ওয়েজবোর্ড চালু করা যাচ্ছে না। কিন্তু সরকার যদি চায়, রাষ্ট্র যদি চায় তাহলে এক দিন, ২৪ ঘণ্টায় বা তিন দিনেই সেটির ফয়সালা করতে পারে।’
সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ভাইয়েরা কষ্টে আছেন। প্রিন্টের ভাইদের জন্য ওয়েজবোর্ড থাকলেও ইলেকট্রনিক বা অনলাইনের জন্য কোনো বেতনকাঠামো নেই।’
সচিবালয়ে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কমিয়ে দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে আমাদের হয়রানি চলছে। কার্ড কমিয়ে ফেলার একটা চক্রান্ত চলছে। কমিয়ে ফেলার একটা প্রক্রিয়া চলছে।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের ওপর এক ধরনের খড়গ হিসেবে কাজ করছে জানিয়ে এই সাংবাদিক নেতা বলেন, ‘যখনই একটা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া হয়, একটা সংবাদ প্রকাশ করা হয় তখন বিভিন্ন মহল থেকে মামলা করে দেয়া হয়।’
২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর আওতায় আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে ডেটা সুরক্ষার জন্য এটা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে বলা হয়নি সাংবাদিকরা এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সংবাদ প্রকাশে কোনো ধরনের বাধা বা হয়রানির শিকার হবেন না।’
সচিবালয় রিপোর্টারস ফোরামের সভাপতি তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘চার বছর পর যেখানে দশম ওয়েজ বাস্তবায়ন হবে সেখানে আমরা নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কমানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তারা চাচ্ছে সচিবালয়ে সাংবাদিক না ঢুকুক।’
সাংবাদিক শিবলী নোমানী বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ৪০ ঘণ্টা কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সাংবাদিকদের দাসপ্রথার মতো ৫০ থেকে ৫৬ ঘণ্টা কাজ করতে হয়।’